কলকাতায় চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুন নিয়ে উত্তাল দেশ। পড়ুয়া-চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে অবস্থা যে সেই তিমিরেই, তা আরও একবার পরিস্কার হয়ে গেল দিল্লিতে। বুধবার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারকেই খুন করল আততায়ীরা। হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে দুই তরুণ সেখানে আসে। তাদের একজন বলে পায়ের ড্রেসিং করাতে হবে। আগের দিনই সে হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে গিয়েছে। তাই আর হাসপাতালের কর্মীদের কোনও সন্দেহ হয়নি। ড্রেসিং করানোর পরে একজন বলে তাদের প্রেসক্রিমশন চাই। তাই জাভেদ আখতার নামে এক চিকিৎসকের কাছে যাবে বলে। ডাঃ জাভেদ একজন ইউনানি চিকিৎসক।
কয়েক মিনিট পরেই গুলির আওয়াজ শুনে ডাঃ জাভেদের ঘরে গিয়ে দুই নার্স
গজলা পারভিন এবং মহম্মদ কামিল ছুটে যান। গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন জাভেদ।
মাথা দিয়ে রক্তের ফিনকি বেরচ্ছে। এর আগেই অবশ্য চম্পট দিয়েছে আততায়ীীরা। হাসপাতলের
কর্মীরা জানিয়েছেন, সন্দহভাজনদের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর হবে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার
ফুটেজ দেখে আততায়ীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিস হাসপাতেলের ক্যামেরার হার্ডডিস্ক
চেয়ে পাঠিয়েছে।
পুলিসের প্রাথমিক সন্দেহ, এটা একটি টার্গেটেড কিলিংয়ের ঘটনা। আগের
দিন চিকিৎসা করাতে নয়, আততায়ী এসেছিল রেইকি করতে। পরের দিন তারা কাজ হাসিল করে। দিল্লির
এই ঘটনা নতুন করে আম আদমি পার্টির হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে একযোগে
দিল্লির উপ রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রকে নিশানা করা হয়েছে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার
জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং উপ রাজ্যপালই দায়ী বলে জানিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল।
প্রসঙ্গত দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজের টুইট, ‘দিল্লি এখন অপরাধের রাজধানী হয়ে
গিয়েছে। গ্যাংস্টারের সহজেই তাদের কাজ হাসিল করে। তোলাবাজি এবং খুন নিত্য ঘটনা হয়ে
দাঁড়িয়েছে।’ ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রেসিডেন্সিয়াল ডক্টরদের সংগঠন এফওআরডিএ। কেন বারবার
চিকিৎসকদেরই টার্গেট করা হয়, জানতে চেয়েছে তারা।
0 মন্তব্যসমূহ