মেরেকেটে আর হাতে মাত্র চারদিন। এরপরই ২০০০ হাজার টাকার নোট (rs 2000 note) অকেজো হয়ে পড়বে। সেই ১৯ মে মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ২০০০ টাকার নোট জমা করতে হবে ব্যাঙ্ককে। এরপর আর ওই টাকায় লেনদেন করা যাবে না। সেই হিসেবে শনিবারই এই গোলাপি নোটের শেষ দিন। তাই অপেক্ষা না করে কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে (exchange) আজই ব্যাঙ্কে জমা করে দিন। তবে এখনও বিরাট অঙ্কের দু’হাজারি নোট বাজারে রয়ে গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব, এক সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাজারে পড়ে থাকা নোটের মূল্য ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। মোট ৭ শতাংশ নোটই ব্যাঙ্কে ফেরেনি।
সেই ২০১৬ সালে ৫০০ এবং হাজার টাকার নোট বাতিল করে মোদি সরকার। বাজারে আসে ২০০০ টাকার বড় অঙ্কের নোট। মে মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, এই বড় অঙ্কের নোট তার লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করেছে। এই নোটের ব্যবহার স্বাভাবিক নয়। তাই ‘ক্লিন নোট নীতি’র অঙ্গ হিসেবে এই নোট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এই নোটের সম মূল্যের নোট বাজারে আসবে। অর্থাৎ, একই ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। প্রথমত, বড়অঙ্কের নোট লে নিলে বাজারে নগদের যোগান কমবে। ফলে মুদ্রাস্ফীতি কাবু করা যাবে। অসৎ লোকজন তাদের সম্পদ ২০০০ টাকার নোটে সরালে, তা সহজে আবার ফেরাতে পারবে না।
0 মন্তব্যসমূহ