বিতর্ক সীমাবদ্ধ থাক বিরোধীদের মধ্যেই। বিরোধীরা তাঁর নাগাল পাবেন না। তিনি সিদ্ধান্তে অটল। ফের বোঝালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (pm modi)। নিজেকে ভারতের (bharat) প্রতিনিধি হিসেবেই তুলে ধরলেন জি-২০ সম্মেলনে (g-20 summit)। তাঁর সামনে রাখা নেমপ্লেটে (nameplate) জ্বলজ্বল করছে ভারত কথাটি। জি-২০ সম্মেলন শুরুর পর থেকেই ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্কের সূত্রপাত। দেশী-বিদেশি অতিথি-আমন্ত্রিতদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষ থেকে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’-এর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে সোচ্চার হয় বিরোধীরা। এতদিন আমন্ত্রণ পত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’ কথাটি লেখা থাকত। বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের নাম বদলানোর চেষ্টা করছে মোদি সরকার। এই অবস্থায় বিজেপির মন্ত্রী-সান্ত্রীরা নাম বদলের পক্ষে সওয়াল করতে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, সংবিধানেই রয়েছে ভারত কথাটি। তাই ভারত কথাটি লেখার মধ্যে কোনও ভুল নেই। এই পুরো বিতর্কে নীরবতা অবলম্বন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার শীর্ষ
বৈঠক শুরু হতেই সকলের চোখ চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাখা নেম প্লেটটির দিকে। তাতে
যে ‘ভারত’ লেখা। রজেনৈতিক মহলের মতে, কোনও মন্তব্যে না গিয়ে এভাবেই নিজের অবস্থানে
অনড় থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু তাই নয়, জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে আগত রাষ্ট্রনায়কদেরও
এই দেশকে ভারত নামে পরিচিত করা হয়েছে বুকলেটে। ইন্ডিয়ার বদলে ভারত যে কেবল নামেই পরিবর্তন,
এবং তার যে দেশীয় ঐতিহ্য রয়েছে তাও বোঝানো হয়েছে। বুকলেটে লেখা রয়েছে— ‘সরকারিভাবে
এই দেশের নাম ভারত। ১৯৪৬-৪৮ সালে সংবিধান নিয়ে বিতর্কের পর এই নাম গৃহীত হয়েছে।’ বুকলেটের
নামও তাই— ‘ভারত, দ্য মাদার অব ডেমোক্র্যাসি (ভারত, গণতন্ত্রের জননী)।
0 মন্তব্যসমূহ