অন্তর্বাস (underwear) কাচাকাচির পর শুকোতে দিলেই হল। আর ফিরে পাওয়ার জো নেই। চুরি (stealing) হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে হদিশ মিলেছে চোরের। তবে এখানেই থেমে নেই বিষয়টি। অন্তর্বাস কাণ্ডে গ্রামে লেগে যায় সংঘর্ষ (clash)। তাতে জখম হয়েছেন ১০ জন। গ্রেফতার (arrested) করা হয়েছে ২০ জনকে।
গুজরাটের আমেদাবাদের ধানধুকা তালুকেই বাস ৩০ বছরের মহিলার। গত আটমাস ধরে তিনি এক উপদ্রব সহ্য করছেন। অন্তর্বাস কাচাকাচির পর শুকোতে দিচ্ছেন ছাদে টাঙানো তারে। তুলতে গিয়ে দেখেন, আর মেলা নেই সাধের অন্তর্বাস। কত আর ঘনঘন অন্তর্বাস কেনা যায়। মহিলার স্বামীও বলে দেন, তিনি আর কিনে দেবেন না। হাত খরচ থেকেই তাঁকে এবার কিনতে হবে।
পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মজা করেই পুলিশ জানায়, সব ছেড়ে এখন অন্তর্বাস চুরির সমাধান করতে হবে! পুলিশ এত 'তুচ্ছ' বিষয়ে মাথা ঘামাবে না বুঝতে পেরে চোর ধরতে ফন্দি আঁটেন তিনি। কারণ বিষয়টি এত গোপনীয় কারও সঙ্গে আলোচনা করা যায় না। কাউকে জিজ্ঞাসাও করা যায় না। তাই ধরতে হবে হাতে নাতে। ধানধুকা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মহিলা মোবাইল স্টিং অপারেশন চালান। সেখানেই ধরা পড়ে গ্রামেরই ৩১ বছরে এক অবিবাহিত যুবকের কুকীর্তি। কিছুটা সন্ধ্যে নামলে সে মহিলার অন্তর্বাস চুরি করে পালাচ্ছে। ২৬ জুন মোবাইলের ফুটেজ খতিয়ে দেখে পরদিন যুবককে হাতেনাতে ধরার সিদ্ধান্ত নেন।
পরদিন চুরি করে পালাতে যাওয়ার সময় যুবককে ধরতে যান মহিলা। ভ্যাবাচাকা খেয়ে পালাতে যাওয়ার সময় সে সে মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। মহিলার চিৎকারে ছুটে আসেন তাঁর বাড়ির লোকজন। তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে যুবক ও তার আত্মীয়দের উপর হামলা চালায়। পাল্টা হামলা চালায় যুবকের বাড়ির লোকজন। ধানধুকা থানার ইন্সপেক্টর পি এন ঝিনঝুওয়ারিয়া বলেন দু'পক্ষের ১০ জন জখম হয়েছে। মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ