বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ (smallest country) বলতেই ভেসে ওঠে ভাটিকান সিটির (vatican city) নাম। ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মগুরু পোপের বাসস্থান। তবে এবার নতুন করে ইতিহাস লেখার সময় হয়েছে। কারণ সন্ধান মিলেছে এমন এক দেশের, যার জনসংখ্যা মাত্র ২৭ জন। সমুদ্র পৃষ্ঠে অবস্থিত এই শহরের নাম সিল্যান্ড (sealand)। সরকারিভাবে অবশ্য শহরটির নাম প্রিন্সিপ্যালিটি অব সিল্যান্ড। ইংল্যান্ড থেকে সমুদ্র পথে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৫৫০ বর্গমিটারের এই দেশ। তাদের আছে নিজস্ব সেনা, মুদ্রা এবং পতাকা সহ আধুনিক সব ব্যবস্থা।
তবে দেশটির কোনও প্রধানমন্ত্রী নেই। রাজা ও রানিকেই দেশের প্রধান মানেন দেশবাসী। নেই কোনও ভূখণ্ডও। আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিকে রুখতে এই বিমানপোত বানিয়েছিল ব্রিটেন। নামছিল এইচএম ফোর্ট রাউজ। সেনা এবং নৌসেনা মিলে এটি ব্যবহার করত। বহিঃশত্রুরা যাতে ব্রিটেনে হামলা চালাতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা। জার্মান মাইন নিক্ষেপকারী বিমানগুলিকে ভালই আটকেছিল এই দুর্গ। কথা ছিল বিশ্বযুদ্ধ শেষে এটিকে ভেঙে ফেলা হবে। তবে ব্রিটিশ জলসীমার বাইরে হওয়ায় আর ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি। ১৯৫৬ সালে এই দুর্গকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
১৯৬৭ সালে এটিকে কিনে নেন প্যাডি রয় বেটস নামে এক ব্যবসায়ী। তারপর তিনি এটিকে সার্বভৌম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। গত ৫৪ বছর ধরে ব্রিটেনের সঙ্গে সিল্যান্ডের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। এখন এটি বিতর্কিত সামুদ্রিক দেশ।
0 মন্তব্যসমূহ