মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে থাকে বিশ্বের একমাত্র বেসরকারি সংস্থা এলন মাস্কের (elon mask) স্পেসএক্স (spacex)। মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপনে খরচ কম হওয়ায় অনেকেই স্পেসএক্সকে পছন্দ করেন। সেই স্পেসএক্সই সম্প্রতি মহাকাশে উপগ্রহ (rocket) পাঠাতে গিয়ে আয়নোস্ফিয়ারের (ionosphere) ক্ষতি করেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আয়নোস্ফিয়ারে বড়সড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীকে ঘিরে থাকা এই আয়ন মণ্ডল। অতিবেগুনি রশ্মির কুপ্রভাবমুক্ত থাকে পৃথিবী। সেই আয়নোস্ফিয়ারেই গর্ত সৃষ্টি করেছে ট্যুইটার কর্তা এলন মাস্কের স্পেসএক্স।
সূত্রের খবর, গত ১৯ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার ভেন্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করে স্পেসএক্স। এরপর রকেটটিতে লাল আভা দেখা দেয়। তা দেখে বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিদ জেফ বাউমগার্ডনার জানিয়েছেন, লাল আবার অর্থ আয়নোস্ফিয়ারে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ভৃ-পূষ্ঠ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে যখন রকেট তার ইঞ্জিনকে পোড়ায়, তখন এমনটা ঘটেই থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ১৯ জুলাইয়ের উৎক্ষপেণের ভিডিও ফুটেজ আমি দেখেছি। ২৮৬ কিমি দূরে উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় পর্যায়ে ইঞ্জিন পোড়ানো হয়। তাই আয়নোস্ফিয়ারে গর্তের সম্ভাবনা যথেষ্ট।
আয়নোস্ফিয়ারে গর্তের জন্য আরও বিরূপ প্রভাব সহ্য করতে পৃথিবীকে। আসলে ভূপৃষ্ঠকে ঘিরে থাকা সর্বশেষ স্তর এটি। এতে রয়েছে আয়নের স্তর। এই স্তরের জন্যই আকাশে অরোরা তৈরি হয়। তাছাড়া রেডিও তরঙ্গ প্রতিফলিত এই স্তর থেকে। এই কারণে যোগাযোগ এবং দিগনির্ণয়ে ব্যবহৃত নেভিগেশন ব্যবস্থাও এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জিপিএস ব্যবস্থাও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ