নোট বাতিল হলে জাল নোট কমবে। এমনটাই প্রতিশ্রুতি ছিল সরকারের। নিত্য অভিজ্ঞতা বলছে, এমনটা হয়নি। তাবলে ডাক্তারকে (doctor) কেউ ভুয়ো নোট (fake note) দিয়ে বসবে। ভাবতে পারেননি চিকিৎসক নিজেও। প্রতারিত হলেও রসবোধ (hillarious experience) কমেনি তাঁর। ট্যুইটারের মত মেটার নতুন প্ল্যাটফর্ম থ্রেডে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন চিকিৎসক মানান ভোরা।
অর্থপেডিক সার্জন ভোরা আবার একজন সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট ক্রিয়েটরও। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি একজন রোগী তাঁকে নগদে বিল মিটিয়েছেন। তাড়াতাড়ির মধ্যে তাঁর কর্মচারী সেই টাকা নিয়েও নেন। ওই কর্মচারী নাকি বিশ্বাসই করতে পারেননি যে কোনও রোগী তাঁকে এইভাবে ঠকাবে। রোগীর পরিবার অজান্তেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, এমন সম্ভাবনাও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে রোগীর পরিবার হয়ত ৫০০ টাকার নোটটি পায়। এরপর তা ভুয়ো নোট বুঝতে পেরে ডাক্তারকে দিয়ে দিয়েছেন। তবে বিষয়টি হাল্কাভাবেই নিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তা তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট। তিনি লিখেছেন, 'প্রতারিত হয়েছি বটে। তবে বিষয়টি মজার ছলেই নিয়েছি। নোটটি নিজের কাছেই রেখেছি।' সেই নোটে স্পষ্ট করেই লেখা- স্কুলের প্রজেক্টের জন্য তৈরি। যে কেউ একবার ওই নোটের দিকে তাকালেই আসল-নকল স্পষ্ট হয়ে যায়। এত কিছুর পরেও কেন কর্মচারী বুঝতে পারেননি সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমানে চলছে মশকরা।
0 মন্তব্যসমূহ