Puri Rathyatra: জানেন কি, পুরীতে একসময় ছ’টি রথের শোভাযাত্রা হত| জানুন বিস্তারিত

Bengali News Click

রথযাত্রা (rathyatra) উপলক্ষ্যে সারাদেশেই উন্মাদনা তুঙ্গে। যত সময় যাচ্ছে ততই মানুষ জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রাকে আপন করে নিতে শুরু করেছেন মানুষজন। আর এই সুবাদেই রথযাত্রার মাহাত্ম আরও বেশি করে জনমানসে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। কে না জানে, রথযাত্রার জৌলসের দিক দিয়ে পুরীর (puri) জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তবে জানেন কি, একটা সময় ছ’টি রথ (six chariots) নিয়ে শোভাযাত্রা হত? পুরীর রথযাত্রা ঘিরে রয়েছে এমনই নানা গল্প। আসুন জেনে নিই এমনই নানা প্রচলিত কাহিনী।

আসলে জগন্নাথ মন্দিরের কারণেই রাজধানী ভুবনেশ্বরকে ছাপিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে ওড়িশার পরিচিতি হয়ে উঠেছে পুরী। জগন্নাথ মানে জগতের নাথ। অর্থাৎ প্রভু। হিন্দু বিশ্বাস মতে, জগন্নাথ আসলে বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণেরই এক রূপ। প্রতি বছর আষা‌ঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি আলাদা আলাদা রথে মাসির বাড়ি চলেন জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রা। উল্টোরথের দিন তাঁরা মাসির বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরে আসেন।

কেন রথযাাত্রা? বছরে একবার করে ত্রিদেবের মাসির বাড়ি (গুণ্ডিচা মন্দির) যাওয়ার আড়ম্বরই রথযাত্রার উদ্দেশ্য। তিনটি রথে জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রার মূর্তি নিয়ে যাওয়া হয়। আর এই শোভাযাত্রা দেখতে হাজির হন বিশ্বের নানাপ্রান্তের ভক্তরা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শোভাযাত্রায় এসেছে বদল। জানা যাচ্ছে, প্রায় সাতশো বছর ধরে পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা হয়ে আসছে। মন্দির ও মাসির বাড়ির মধ্যে গুণ্ডি নালা পড়ে। একই রথে করে সেই প্রশস্ত নালা পার করা সম্ভব ছিল না। অগত্যা রথযাত্রার জন্য ছ’টি রথের ব্যবস্থা করতে হত। প্রথমে মন্দির থেকে তিনটি মূর্তি নিয়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিত তিনটি রথ। পরে নৌকা করে গুণ্ডি নালা পার করা হতো। এরপর আরও তিনটি রথে বাকি পথ নিয়ে যাওয়া হতো তিনটি মূর্তিকে। ফেরার সময়েও ছিল একই ব্যবস্থা।

শোনা যায় রাজা কেশরি নরসিংহের আমলে গুণ্ডি নালা বুজিয়ে দেওয়া হয়। আর ছ’টি রথে করে মাসির বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন আর হয় না। তিনটি রথেই শোভাযাত্রা সম্পন্ন হয়। এভাবেই বদলে গিয়েছে পুরীর রথযাত্রা।  

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ