রাষ্ট্রপতি বাইডেনের আমন্ত্রণে আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (modi)। তিনি এখন ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি’। এই প্রথম তাঁকে এই সম্মান দিল। এর আগেও তিনি বহুবার আমেরিকা গিয়েছেন। তবে কখনও ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি’ ছিলেন না। সে অর্থে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এটা বিরল সম্মান বটে। শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালে মনমোহন সিংয়ের পর কোনও ভারতীয়কে এই প্রথম এই সম্মান দিল আমেরিকা। তবে মোদিকে যতই রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক, আম মার্কিনি নাকি মোদির (do not know modi) নামই শোনেনি। প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের মাঝে এই সমীক্ষা (servey) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পিউ রিসার্চ (pew research) সেন্টার। আর তাতে কিছুটা হলেও উৎসাহে চোনা পড়েছে। শুধু তাই নয়, চিনতে পারা মানুষদের ৩৭ শতাংশ আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে মোদির কার্যকরি ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
কী জানাচ্ছে পিউ রিসার্চ? মার্কিন এই সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন নেতাকে নিয়ে আম মার্কিনীর অভিমত সমীক্ষা করেছিল ওয়াশিংটনের এই সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৪০ শতাংশ মার্কিনী মোদির নামই শোনেননি। প্রধানমন্ত্রীর জন্য আরও বিব্রতকর খবর রয়েছে। পিউ রিসার্চের মতে, যে সমস্ত নেতাকে নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, মোদিকে না চেনার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২১ জুন সংস্থার পক্ষ থেকে 'স্প্রিং ২০২৩ গ্লোবাল অ্যাটিটিউড সার্ভে রিপোর্ট' প্রকাশ করা হয়। দেখা যাচ্ছে, মোদির পরে মার্কিনীদের তালিকায় রয়েছেন জার্মান চ্যান।সেলার ওলাফ স্কোলাজ। ৩৫ শতাংশ মার্কিনী তাঁকে চিনতে পারননি। আমেরিকার সঙ্গে ইজরায়েলের যতই মাখামাখি সম্পর্ক থাক, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকেও চিনতে পারেননি ২৬ শতাংশ মার্কিনী। নাচেনার তালিকায় রয়েছেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রঁও। ২৪ শতাংশ মার্কিনী তাঁকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি, চীনের প্রেসিডেন্ট সি সিনফিং বা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ভালোই চেনেন আৃ মার্কিন জনতা। ২০ থেকে ২৬ মার্চ ৩ হাজার ৫৭৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিনির মধ্যে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল পিউ রিসার্চ।
0 মন্তব্যসমূহ