রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে উদ্বোধন না করানো নিয়ে বিরোধীদের সমাালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই নতুন পার্লামেন্ট ভবন (new parliament building) নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আগের ব্রিটিশদের তৈরি করা গোলাকার সংসদ ভবনটি (existing one) ভাল? নতুন পাঁচকোণা ভবনটি, তা নিয়েও নানা মত ভেসে আসছে নেট দুনিয়ায়। সেই বিতর্কে যাওয়ার আগে, চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন ভবনের সঙ্গে পুরনোটির তফাৎ—
অনেক বেশি সাংসদ বসতে পারবেন
- পুরনো সংসদ ভবনের পাশেই তৈরি হয়েছে নতুন ভবন। আগে লোকসভার ৫৪৩ জন এবং রাজ্যসভার ২৫০ জন সাংসদ একসঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারতেন। নতুন সংসদ ভবনে (new parliament building) ৮৮৮ জন লোকসভার এবং ৩০০ জন রাজ্যসভার সাংসদ বসতে পারবেন।
৬৫ হাজার বর্গমিটার এলাকায় গড়ে উঠেছে নতুন সংসদ ভবন
- ৬৪ হাজার ৫০০ বর্গমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে নতুন সংসদ ভবন। আর গোলাকার ভবনটির ব্যাস ছিল ১৭০.৬৯ মিটার। মাত্র ছ’একর (২৪ হাজার ২৮১ মিটার) এলাকার উপর এই ভবনটি গড়ে ওঠে।
যৌথ অধিবেশনের জায়গা নেই
- নতুন সংসদ ভবনে কোনও সেন্ট্রাল হল নেই। পুরনো ভবনের সেন্ট্রাল হলেই যৌথ অধিবেশন বসত। এবার তাই ঠিক হয়েছে, লোকসভার কক্ষেই যৌথ অধিবেশন বসবে। সেজন্য এবার রাজ্যসভার সাংসদদের লোকসভার কক্ষে আসতে হবে যৌথ অধিবেশনে যোগ দিতে।
অনেক উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- পুরনো ভবনে আধুনিক কোনও সরঞ্জাম ছিল না। না ছিল দমকলের যথাযথ ব্যবস্থা। ইলেক্ট্রিক কেবল বসানোর জায়গা ছিল না। অনেকক্ষেত্রেই তার বেরিয়ে থাকত। এ নিয়ে বহু সাংসদই আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাছাড়া সিসি ক্যামেরা, অডিও-ভিডিও সিস্টেমও ঠিকঠাক ছিল না। নতুনটি একেবারে ঝাঁ চকচকে। নিরাপত্তা এবং আধুনিকতার মিশেল এই ভবনে।
বর্তমানে ৫৪৩ জন লোকসভার সাংসদ রয়েছেন। ১৯৭১ সালের জনগণনার উপর
ভিত্তি করে এই সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০০১ সালের জনগণনার উপর নির্ভর করে জনপ্রতিনিধির
সংখ্যা নির্ধারণের কথা ছিল। তা স্থগিত হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসংখ্যার অনুপাতে
জন প্রতিনিধি এখন নেই। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে ২০২১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধির
সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। সেই দিক দিয়ে বর্তমান ব্রিটিশ আমলে তৈরি সংসদ ভবনে সাংসদদের
স্থান সঙ্কুলান হবে না। তাই বড় সংসদ ভবনের প্রয়োজন রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ