সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) নির্দেশে তাৎক্ষণিক তালাক (তালাক-ই-বিদ্দত) নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে আগেই। এবার তালাক-ই-হাসানের (talaq e hasan) গ্রহণযোগ্যতা খতিয়ে (examaine) দেখতে সম্মত হল (agrees) সুপ্রিম কোর্ট। মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের সুবাদে এখন তালাক-ই-হাসানের (talaq e hasan) সুবিধা নিয়ে একতরফাভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের সুযোগ নেন পুরুষরা। তাই তালাক-ই-হাসানের গ্রহণযোগ্যতা খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন একাধিক মুসলিম মহিলা। শুক্রবার সেই মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি এস নরসিমা এবং বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালাকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ।
তালাক-ই-বিদ্দতেরর মতোই মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে তালাক-ই-হাসান (talaq
e hasan) নিয়েও বিতর্ক অনেকদিনের। তাল্লাক-ই-বিদ্দতের বেলায় তাৎক্ষণিকভাবে একতরফা বিচ্ছেদের
সিদ্ধান্ত নেন মুসলিম পুরুষ। অন্যদিকে, তালাক-ই-হাসানের ক্ষেত্রে এক মাসের ব্যবধান
রেখে তিনবার তালাক কথাটি উচ্চারণ করা হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে থাকে।
সূত্রের খবর, তালাক-ই-হাসানের (talaq e
hasan) গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন বেনাজির হিনা সহ বহু মহিলা।
পাশাপাশি এই তালাক-ই-হাসানের একতরফাভাবে বিবাহ ভাঙার অধিকার পুরুষদেরই রয়েছে কি না,
তাও বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন। এক মহিলা জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে তাঁকে তিন-তালাক
দিয়েছেন তাঁর স্বামী।
মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো
হয়েছে, ‘এইভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের সাংবিধানিক গ্রহণযোগ্যতা অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
তাই আমরা পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য বিষয়টি গ্রহণ করছি।’
এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কানু আগরওয়াল।
তিনি বলেন, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং খোরপোষের নীতি যাতে অভিন্ন হয়, তার জন্য সুপ্রিম
কোর্টে মামলা করেছিলেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই মামলা আগেই খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সেবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, বিষয়টি আইনসভার বিচার্য। বিচারবিভাগ এই নিয়ে হস্তক্ষেপ
করবে না। তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরে আমি মুসলিম মহিলাদের দায়ের করা আবেদনগুলি
খতিয়ে দেখেছি। প্রত্যেক্যেই আদালতের বাইরে তালাক-ই-হাসানের (talaq e hasan) মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের গ্রহণযোগ্যতা
নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে বর্ণিত এই ধরণের বিবাহ বিচ্ছেদের সাংবিধানিক
গ্রহণযোগ্যতা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।’ মহিলাদের আর্জি সংক্ষেপে তুলে ধরতে
আগরওয়ালকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সায়রা বানু মামলায় তালাক-ই-বিদ্দতকে
অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। ৩-২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সেই
বাতিল হয়ে যায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক।
0 মন্তব্যসমূহ