একদা গঙ্গাপারের দুই শহর হাওড়া এবং কলকাতাকে সড়ক পথে জুড়তে তৈরি হয়েছিল হাওড়া ব্রিজ (howrah bridge)। কালক্রমে হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতুই হয়ে উঠেছে শহরতলির একটা বড় অংশের সঙ্গে কলকাতার মূল যোগাযোগের মাধ্যম। দেখতে দেখতে ৮০ বছর পার করে গিয়েছে ব্রিটিশদের বানানো এই সেতু। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই সেতুকে কাজের উপযোগী রাখতে এবার রক্ষণাবেক্ষণ (renovation work) শুরু হতে চলেছে। তাই রাত দশটা থেকে সকাল ছ’টা পর্যন্ত বন্ধ (close) রাখা হবে সেতুর একটা অংশ। কলকাতা বন্দর সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই সেতুর উপর বারবার দেওয়া পিচের আস্তরণ বা ডেড লোড কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রায় ২৭দিন এই কাজ চলবে। কবে এই কাজ শুরু হবে, তা অবশ্য জানানো হয়নি।
জানা যাচ্ছে,
রাতে কাজ হলেও ওই সময় রাস্তায় ভালই ভিড় থাকে। হাওড়ার শেষ ট্রেন হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল।
হাওড়া থেকে ছাড়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। সেই ট্রেনেও আগেও রয়েছে বেশ কয়েকটি লোকাল এবং
দূরপাল্লার ট্রেন। সেই ট্রেনগুলি ধরতে রাস্তায় ভালই ট্রাফিকের আনাগোনা থাকে। তাই রক্ষণাবেক্ষণের
সময় কী করনীয়, তা ঠিক করতে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে বলেছে। সেগুলির কাজ সম্পূর্ণ হলেই
রক্ষণাবেক্ষণের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।
দ্বিতীয় হুগলি
সেতুরও রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে একই সঙ্গে হাওড়া ব্রিজ (howrah bridge) এবং দ্বিতীয় হুগলী সেতু
বন্ধ রাখা যাবে না বলে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে। তাই সেতুর মূল অংশ বাদ দিয়ে ব্রিজ সংলগ্ন
ফ্লাইওভারের মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। তাই রাতের দিকে সেতুর একাংশ বন্ধ রাখা হয়। জানা
যাচ্ছে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে হাওড়া ব্রিজকেই (howrah bridge) রক্ষণাবেবক্ষণের কাজে
এগিয়ে রাখছে পুলিশ। ব্রিজের উপর থেকে সমস্ত পিচের আস্তরণ তুলে দিয়ে ২৫ মিলিমিটার পুরু
ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টের আস্তরণ দেওয়া হবে। খরচ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা।
0 মন্তব্যসমূহ