বিজেপি সাংসদ রাজেশ চূড়াসামা
এক চিকিৎসকের (doctor) থেকে কোটি টাকারও বেশি ধার নিয়েছিলেন গুজরাটের
বিজেপি সাংসদ (gujarat bjp mp) রাজেশ চূড়াসামা।
তবে সেই টাকা আর ফেরাননি। শুধু তাই নয়, টাকা ফেরত চাইতেই চিকিৎসক অতুল চাগগে
প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন সাংসদ ও তাঁর বাবা নারান চূড়াসামা। এরপরই আত্মহত্যা করেন
ওই চিকিৎসক। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে (abetment to suicide) রাজেশ ও তাঁর
বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে গুজরাট পুলিশ।
গির সোমনাথ জেলার সমুদ্র সৈকত শহর ভেরাভলে চিকিৎসার পাশাপাশি চিকিৎসক অতুল চাগ নানা সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। অতুল চাগের ছেলে হিতর্থ চাগ জানিয়েছেন, ব্যবসার জন্য তাঁর বাবার থেকে দেড় থেকে পৌনে দু'কোটি টাকা ধার নিয়েছিলেন নারান। সেই টাকা ফেরত চাইতেই নারান ও তাঁর ছেলে সাংসদ রাজেশ তা দিতে অস্বীকার করেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ৫৯ বছরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অতুলের ঘর থেকে একটি এক লাইনের স্যুইসাইড নোট পাওয়া যায়। গুজরাটি ভাষায় লেখা সেই নোটে মৃত্যুর জন্য নারান এবং রাজেশকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন অতুল।
১৭ ফেব্রুয়ারি ভেরাভল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হিতার্থ। সাংসদ রাজেশ
ও তাঁর বাবা নারানকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ করেন তিনি। তবে এফআইআর দায়ের
করতে অস্বীকার করায় মার্চ মাসে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্ত হন হিতার্থ। আদালতে তিনি
জানান, এফআইআর নিতে অস্বীকার করা আদালত অবমাননার শামিল। কারণ সুপ্রিম কোর্ট ললিতা কুমারি
মামলার রায় দিতে গিয়ে এফআইআরের নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়েছে। তাতে শাস্তিযোগ্য অপরাধের
ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের সহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতেক হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের
কাছে আবেদনের নির্দেশ দিয়ে মামলাটি ডিসপোজ করে দেয় হাইকোর্ট। এরপর সাংসদ ও তাঁর বাবার
বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ