দিল্লিতে প্রশাসনিক ব্যাপারে শেষ কথা কে বলবে, তাই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেজরিওয়াল সরকারের (centre vs delhi) মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে দুই সরকারের মধ্যে ক্ষমতার দড়ি টানাটানি বন্ধ করতে ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট (supreme court) জানায়, জমি এবং আইনশৃঙ্খলা ছাড়া সমস্ত বিষয়ে দিল্লির আপ সরকারই শেষ কথা বলবে। অর্থাৎ আমলা (bureaucrats) নিয়োগ ও বদলি নিয়ে কেন্দ্র ও কেজরি সরকারের মধ্যে যে ক্ষমতার টানাপোড়েন চলছে তাতে মোদি সরকারের নাক গলানো যাবে না। এরমধ্যেই কেজরিওয়ালকে প্যাঁচে ফেলতে কোমড় বেঁধে নামে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার রাতে অর্ডিন্যান্স (ordinance) জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির আমলা নিয়োগ ও বদলির জন্য ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিসেস অথরিটি নামে একটি সংস্থা তৈরির কথা ঘোষণা করে। তাতে বলা হয়, তিন সদস্যের এই কমিটির চেয়ারপার্সন হবেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হবেন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব। ভোটাভুটির মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
এমনিতে এই কমিটির মধ্যে দোষের কিছু দেখা যাচ্ছে না। তবে অর্ডিন্যান্সের
পরবর্তী অধ্যায়ে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়, কেন্দ্রীয় সরকার এর মাধ্যমে ঘুরিয়ে কেজরিওয়াল
সরকারের উপর ছড়ি ঘোরাতে চাইছে। প্রথমত কমিটির অন্য দুই সদস্য অর্থাৎ মুখ্যসচিব এবং
স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়োগ করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমলাদের
মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসার সমূহ সম্ভাবনা। এখানেই শেষ নয়, অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে,
তিন সদস্যের মধ্যে বনিবনা না হলে, সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন উপ রাজ্যপাল। যে
উপ রাাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কেজরি সরকারের লড়াই, ঘুরিয়ে তাকেই আবার
সর্বময় কর্তা বলে ঘোষণা করা হল। স্বাভাবিকভাবেই এই ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিসেস অথরিটি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আপ। দলের
নেত্রী তথা দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উপেক্ষা করতেই
এই অর্ডিন্যান্স এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
শনিবার কোনও রকম লুকোছাপা না রেখে ১১-মের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি
জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল কেন্দ্রীয় সরকার। আপ সরকারও জানিয়েছে, অর্ডিন্যান্সকে
চ্যালেঞ্জ করে তারাও সুপ্রিম কোর্টে যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ