তৃণমূল-বিজেপি-তৃণমূল-বিজিপি। শেষটুকু শুধু সময়ের অপেক্ষা? এরপরেই হয়ত আবার ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুল শিবিরে দেখা যাবে মুকুল (mukul roy) রায়কে। সোমবার রাতে সকলের অগোচরে দিল্লি গিয়েছিলেন মুকুল। তখনই পদ্ম শিবিরে মুকুলের যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘আমি বিজেপি বিধায়ক। আমি বিজেপির (bjp) সঙ্গেই থাকতে চাই। দলের পক্ষ থেকেই আমাকে এখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি অমিত শাহ (amit shah) এবং দলীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চাই।’ শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে তিনি আবার বিজেপিতে যোগ দেবেন।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মত পার্থক্যের জেরে ২০১৭ সালে মুকুল রায় (mukul roy) বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর মতো দক্ষ সংগঠককে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয়। তবে দিলীপ ঘোষ রাজ্যসভাপতি থাকার সময় তাঁকে রাজ্য রাজনীতিতে সেভাবে জায়গা দেননি। মুকুলকে সেইভাবে ব্যবহার না করা নিয়ে দিলীপকে বিজেপির শীর্ষ স্তরের উষ্মা হজম করতে হয়। অবশেষে ২০২১ সালে তাঁকে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে বিজেপি। জিতেও যান। এরপরেই তিনি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন।
তবে মুকুলের (mukul roy) দিল্লি যাওয়া এবং বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নানা মন্তব্যে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। প্রথমে মুকল-পুত্র শভ্রাংশ রায় বলেন, বাবা ‘নিখোঁজ।’ এরপরেই তিনি নোংরা রাজনীতি করার জন্য বিজেপির উপর দোষ চাপান। এমনকী শুভ্রাংশু এও বলেন, ‘বাবা ভাল নেই। তাঁর মানসিক স্থিরতা নেই।’ এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না। তাই রাজনীতি থেকে দূরে ছিলাম। এখন আমি ভাল আছি। আবার সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করতে চাই।’ তবে তৃণমূলে যে আর ফিরছেন না, সে ব্যাপারে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দিয়েছেন একদা মমতার লেফটটেন্যান্ট।
এমনকী ছেলে শুভ্রাংশুর ভবিষ্যতের ব্যাপারেও মন্তব্য করেছে মুকুল। তিনি বলেন, ‘খুব শীঘ্র সেও বিজেপিতে যোগ দেবে। কারণ বিজেপির রাজনীতি ওর সঙ্গে মিল খায়।’
0 মন্তব্যসমূহ