সরাসরি না (refuse) বলে দিচ্ছে ব্যাঙ্ক (bank)। জায়গা নেই (out of space)। তাই মন্দিরের প্রণামীর কয়েন আর গচ্ছিত রাখবে না তারা। ব্যাঙ্কগুলির এই সিদ্ধান্তে ফাঁপড়ে পড়েছে শিরডির সাইবাবা মন্দির (shirdi saibaba temple)। কেন ব্যাঙ্কগুলির এই সিদ্ধান্ত? ব্যাঙ্কে নাকি কয়েন রাখার মত জায়গা নেই। একথা ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে শ্রী সাইবাবা সংস্থান ট্রাস্টকে (এসএসএসটি) জানানো হয়েছে। এসএসএসটি এখন ভেবে পাচ্ছে না এবার তারা কী করবে?
জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ১৩টি শাখায় ট্রাস্টের
(shirdi saibaba temple) অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এরমধ্যে শিরডিতেই রয়েছে ১২টি অ্যাকাউন্ট।
একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে নাসিকে। এখন ট্রাস্টের ১১ কোটি টাকার কয়েন গচ্ছিত রয়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে।
এখন রাখার জায়গা নেই জানিয়েথে শিরডির চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা সাইবাবা মন্দিরের
প্রণামীর কয়েন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ট্রাস্টের সিইও রাহুল যাদব জানিয়েছেন, ‘এই চারটি
ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা জানিয়েছেন প্রতিদিনের প্রণামী গচ্ছিত রাখার মত জায়গা তাঁদের নেই।
ট্রাস্টের পক্ষে এটা বড় সমস্যা।’ আতান্তরে পড়ে সরাসরি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে দরবার
করার কথা ভাবছে সাইবাবা ট্রাস্ট।
বিকল্প ব্যবস্থার কথাও ভাবা হচ্ছে। রাহুল যাদব জানিয়েছেন, ‘আহমেদনগর
জেলার অন্যত্র বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখাতেও অ্যাকাউন্ট খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে সেখানেও
কয়েন রাখা যায়। সকলের কাছেই সাহায্যের আর্জি জানাব।’
শিরডি সাইবাবা মন্দিরের (shirdi saibaba temple) প্রণামীর কয়েনের
পরিমাণ তো কম নয়! ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকার কয়েনে মাসে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার প্রণামী জমা
পড়ে। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দৈনিক জমা পড়া কয়েন গণনা করে রাখা হয়। সেই গণনার রয়েছেন মাইনে
করা কর্মচারী। এরপর ঘুরিয়ে ফিরেয়ে প্রত্যেক ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে মাসের শেষে একজন কর্মচারী
মন্দিরে এসে ট্রাস্টের থেকে কয়েনগুলি নিয়ে যায়।
তবে জায়গার সঙ্কুলান নিয়ে সেই ২০১৯ সালেই ট্রাস্টের কাছে আশঙ্কার
কথা জানিয়েছিল ব্যাঙ্কগুলি। ট্রাস্টের কয়েনের বস্তাগুলি অনেকখানি জায়গা দখল করে রাখছে
বলে ব্যাঙ্কগুলি। তখন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, চাইলে ব্যাঙ্কগুলিকে মন্দিরের মধ্যেই
জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তবে নিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করতে রাজি হয়নি ব্যাঙ্কগুলি।
0 মন্তব্যসমূহ