মাত্র কয়েকদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশের (arunachal) বেশ কয়েকটি জায়গার নাম বদলে (renamed) দিয়েছে চীন (china)। এই অবস্থায় চীনকে বার্তা দিতে সোমবার অরুণাচল সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (amit shah)। তাঁর সফর তালিকায় রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের আনজ জেলার কিবিতো শহর। জঙ্গলভূমি সমৃদ্ধ এই কিবিতোর নামও বদলেছে লাল চীন। এই কিবিতো থেকেই ‘ভাইব্রান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’-এর সূচনা করবেন অমিত শাহ। চীন সীমান্তে রয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control (LAC)। এই সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে জুড়তেই ‘ভাইব্রান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’। মোদি সরকারের (modi govt) ক্ষমতা প্রদর্শনের (big show) মঞ্চ হতে চলেছে অমিতের এই সফর।
জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এরমধ্যে আড়াই হাজোর কোটি টাকা দিয়ে ২০২৩-২০২৬ সালের মধ্যে গ্রামগুলিকে জুড়তে রাস্তা বানানো হবে। মোদ্দা কথা চীন সীমান্তে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল বদল আনতে চায় মোদি সরকার। তাই এই বিপুল বিনিয়োগ। সড়ক যোগাযোগ না থাকায় এই সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি থেকে স্থানীয়রাা উত্তরাখণ্ড চলে যেতে শুরু করেছেন। উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে তিব্বতের প্রায় ৩৪৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক নৈকট্যের কারণে অরুণাচল প্রদেশ ছেড়ে তাঁরা দলে দলে উত্তরাখণ্ডে যেতে শুরু করেছেন। এতে উদ্বিগ্ন উত্তরাখণ্ড সরকার।
এই গ্রাম জোড়া কর্মসূচির আওতায় আসছে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত লাদাখ। এই সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট, চীন সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে সড়ক যোগাযোগ বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। অনেকেই এই কর্মসূচিকে সেনা বহর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন। তাঁদের মতে সম্প্রতি ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশে (ITBP) আরও সাতটি ব্যাটেলিয়ন গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফোর্সের অধীনে আরও ৪৭টি সীমান্ত চৌকি, ১২টি স্টেজিং ক্যাম্পস খোলা হবে। সব মিলিয়ে খরচ হবে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বারবার চীনা আগ্রাসনের শিকার সীমান্তবর্তী জেলাগুলি। মাঝেমাঝেই সেখানে প্রবেশ করে লালফৌজ। তাই আগ্রানস প্রতিহত করতে চীন সীমান্তে পাহারারত ITBP-র বহর আরও বাড়াতে চাইছে সরকার।
0 মন্তব্যসমূহ