প্রায় দু’দশক আগে ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে কলঙ্কিত হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট। একই রকম কলঙ্কজনক অধ্যায় প্রাক্তন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি এবং তৎকালীন কোচ অনিল কুম্বলের (anil kumble) বনিবনা না হওয়া। কোচ (head coach) এবং ক্যাপ্টেনের দ্বৈরথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট। আর সে সময়ই কোহলিদের কোচ হওয়ার জন্য প্রস্তাব গিয়েছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগের (virendra sehwag) কাছে। আর সেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন খোদ বিরাট কোহলি। ঘটনার ৬ বছর পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন (claim) সেওয়াগ।
সেদিন ঠিক কী হয়েছিল? একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সেওয়াগ
জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে কোহলি এবং কুম্বলের দ্বৈরথ চরমে পৌঁছয়। সে সময়ই তাঁর কাছে ভারতীয়
দলেরে হেড কোচ হওয়ার প্রস্তাব যায়। সেইমতো তিনি হেড কোচ হওয়ার আবেদন করেছিলেন। তবে
হেড কোচ হওয়া আর তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। কারণ আবার রবি শাস্থ্রী কোহলিদের কোচের দায়িত্ব
নেন। এ প্রসঙ্গে বীরু জানিয়েছেন, ‘তৎকালীন বিসিসিআই সচিব অমিতাভ চৌধুরী এবং বিরাট কোহলি
আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করলে, আমি আবেদনই করতাম না। অমিতাভের সঙ্গে আমার একটি বৈঠক হয়।
অমিতাভ জানান, বিরাট ও কুম্বলের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে। আমরা চাই, তুমি কোচ হও।
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত কুম্বলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। এরপর আমাকে কোচ
হিসেবে দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেতে হবে বলে জানানো হয়।’
তবে এর আগেই ইস্তফা দিয়ে দেন কুম্বলে। পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে
হারার পর কুম্বলে সরে যান। তবে কী কারণে তিনি আর কোচ হতে পারলেন না, তো খোলসা করেননি
ভারতের প্রাক্তন ওপেনার। কোচ বা অধিনায়ক না হওয়া নিয়ে কী তাঁর আক্ষেপ রয়েছে? সঁপাট
ছয় মারার স্টাইলে বীরু জানিয়েছেন, কোনও আক্ষেপ তাঁর নেই। তাঁর কথায়, ‘আমি যা অর্জন
করেছি, তাতেই আমি খুশি। নজফগরের এক গরিব কৃষক পরিবারের সন্তান আমি ভারতীয় দলে খেলার
সুযোগ পেয়েছি। অনুরাগীদের ভালবাসা এবং প্রশংসা পেয়েছি। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হলেও একই
রকম ভালবাসা এবং প্রশংসা পেতাম।’
খেলোয়াড় হিসেবে বীরেন্দ্র সেহওয়াগের রেকর্ড ঈর্ষণীয়। তাঁকে অন্যতম
সেরা ওপেনার মনে করা হয়। বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য সেওয়াগেরই একমাত্র ভারতীয় হিসেবে
টেস্টে দু’টি ত্রিশত রান আছে। ২৭৮ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩০০ রান করেছিলেন।
এটাই টেস্টে দ্রুততম ত্রিশত রান।
0 মন্তব্যসমূহ