একেবারে উলট পুরাণ। সারা দেশে যেখানে প্রত্যাশামতো পণ (dowry) দিতে না পারায় বধূর উপর অত্যাচার চালানোটা যেখানে দস্তুর হয়ে উঠছে, সেখানে বিপরীত চিত্র তেলেঙ্গানায় (telengana)। সেখানে পণের দাবি মেটাতে না পারায় শেষ মুহূর্তে বিয়ে (marriaage) ভাঙলেন (calls off) আদিবাসী পাত্রী (tribal girl)। সূত্রের খবর, পাত্রী ২ লক্ষ টাকারও বেশি পণ চেয়েছিলেন। সেই টাকা মিটিয়েও দেন বর পক্ষ। এরপরও ‘কম পণ’-এর কারণ দেখিয়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন পাত্রী।
তেলেঙ্গানার রাজধানী শহর হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে রয়েছে ঘটকেশর। সেখানেই
বসেছিল বিয়ের আসর। আদিবাসীদের মধ্যে পাত্রীর চাহিদা মেনে পাত্রকে পণের (dowry) দাবি
মেটাতে হয়। সেইমত ২ লক্ষ টাকা পণ মিটিয়ে বৃহস্পতিবার ঘটকেশরে বিয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন
পাত্র। অন্যদিকে ভদ্রারি কোঠাগুদাম থেকে বিয়ে করতে পাত্রের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন পাত্রী।
তাঁদের রাখা হয়েছিল একটি হোটেলে। তবে বিয়ে করতে মণ্ডপে আসেননি পাত্রী। নির্ধারিত সময়
পার হয়ে যাওয়ার পরেও পাত্রী না আসায় হোটেলে হাজির হন পাত্র পক্ষের লোকজন। পাত্রীর বিয়ে
করতে না আসার কারণ জানতে চান তাঁরা। তখনই পাত্রী আরও পণ (dowry) চাইছেন বলে জানানো
হয়।
এরপরেই মণ্ডপ ছেড়ে চলে যান অপমানিত পাত্র পক্ষ। পুলিশের কাছে তাঁরা
বিষয়টি জানান। পুলিশ এবার পাত্রীর বাড়ির লোকজনকে ডেকে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে। এরপর
আলোচনা শুরু হয়। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘দুই পরিবার আলোচনা করে বিয়ে বন্ধ রাখার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মনে হয় পাত্রী এই বিয়েতে রাজি ছিল না। তাই মণ্ডপে না এসে, তিনি আরও পণ দাবি করেন।’
ওই আধিকারিক আরও বলেন, বিয়ে না করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে পাত্রী। তাই পাত্রের পক্ষ
থেকে নেওয়া ২ লক্ষ টাকা ফেরানো হয়েছে। এরপর দু’পক্ষই বাড়ি ফিরে যায়।
আরও খবর: মেডিক্যাল রিপ্রিজেনটেটিভ বরের পাঠানো পোশাকের দাম মাত্র ১০ হাজার| বিয়ে বাতিল পাত্রীর
0 মন্তব্যসমূহ