বিরোধী (opposition) দলগুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে (central agencies) লেলিয়ে দেওয়া (misuse) হচ্ছে। এই অভিযোগ করে রবিবার প্রধানমন্ত্রী (pm) নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন (write up) ন'টি বিরোধী দলের নেতারা। যৌথ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান, বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, শিবসেনার উদ্ধব থ্যাকারে, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল চিঠিতে স্বাক্ষর নেই কোনও কংগ্রেস নেতার। আর এখানেই বিরোধী ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেস এখনও বিরোধী দলগুলির নেতার আসন পেতে চায়। তাই একসঙ্গে নয়, আলাদা করে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে চালাতে চাইছে তারা। তাই অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে একাসনে বসতে আপত্তি রয়েছে মল্লিকার্জুন খাড়্গের কংগ্রেসের।
চিঠির বয়ানে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলির কাজকর্মে চরম অসন্তুষ্ট বিরোধীরা। সিবিআই বা ইডির অভিযানে তাদের গায়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তকমা পড়ে যাচ্ছে, তা ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। তাই এজেন্সিগুলির অভিযানে রাজনৈতিক অভিসন্ধি তুলে ধরা হয়েছে। আর সে প্রসঙ্গেই এসেছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম। বলা হয়েছে, শুভেন্দু ও মুকুলের বিরুদ্ধে নারদ ঘুষ কাণ্ডে নাম ওঠে। অন্যদিকে, হিমন্তের বিরুদ্ধে সারদা মামলায় নাম ছিল। এঁরা যেই বিজেপিতে যোগ দিলেন, তখন থেকে এঁদের বিরুদ্ধে রা কারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। বিরোধীরা যে বিজেপিকে ওয়াশিং মেশিনের সঙ্গে তুলনা করে, এদিন ঠারেঠোরে সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
সম্প্রতি দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিশোদিয়া। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, কোনও প্রমাণ ছাড়াই গ্রেপ্তার হয়েছেন মনীশ।
0 মন্তব্যসমূহ