সাগরদিঘি মডেলে উদ্দীপ্ত কংগ্রেস-বাম শিবির। বোঝাপড়া করে ভোটে লড়লে যে হাতেনাতে ফল পাওয়া যায়, তাই দেখিয়ে দিয়েছে সাগরদিঘিতে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের জয়। এবার কংগ্রেসের (congress) তরুণ নেতা কৌস্তভ বাগচীর (kaustav bagchi) গ্রেপ্তারির (arrested)প্রতিবাদ করে বাম-কংগ্রেস আরও কাছাকাছি আসার বার্তা দিল। শনিবার ভোরে রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভকে গ্রেপ্তার করে বটতলা থানার পুলিস। তাঁর এই গ্রেপ্তারির সমালোচনায় কংগ্রেসের পাশাপাশি সরব হয়েছে বাম নেতারাও। এদিন দীর্ঘ ৪২ দিন পর জেলমুক্ত হয়ে কৌস্তভের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন আইএসএফ নেতা (isf leader) নওসাদ সিদ্দিকিও (nawsad siddiqui)।
সংখ্যলঘু অধ্যুষিত
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে পরাজয় নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর প্রসঙ্গে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন কৌস্তভ। সূত্রের খবর, শনিবার ভোর
সাড়ে তিনটে নাগাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুরে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
কৌস্তভকে। শুক্রবার এই নিয়ে বটতলা থানায় কৌস্তভের নামে মামলা দায়ের হয়েছিল। বটতলা থানার
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আমরা ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে কৌস্তভকে গ্রেপ্তার করেছি। এর
বেশি কিছু বলতে পারব না। তাঁর সঙ্গে কথা চলছে।’
পুলিস গিয়েছে
জানার পরই ব্যারাকপুরের কৌস্তভের ওল্ড ক্যালকাটা রোডের বাড়ির বাইরে হাজির হয়ে যান কংগ্রেস
ও বাম সমর্থকরা। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। এরমধ্যেই গ্রেপ্তার করে কৌস্তভকে বটতলা
থানায় আনা হয়। গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে কৌস্তভের বাবা কুশল বাগচী বলেন, ‘রাজ্যে ফ্যাসবাদ
কায়েম হয়েছে। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়েই সরকার পুলিশকে পাঠিয়েছে।’
এদিকে কৌস্তভ
বাগচীর পাশে রয়েছেন বলে শনিবার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন আইএসএফ নেতা নওসাদ সিদ্দিকি। ধর্মতলার
বিক্ষোভের ৪২ দিন পর শনিবারই মুক্তি পান ভাঙরের বিধায়ক নওসাদ। মনে রাখতে হবে ২০২১ সালের
বিধানসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়েছিল নওসাদের আইএসএফ। সেই
দিক থেকে দেখলে এতদিন পর্যন্ত একমাত্র তিনিই ছিলেন জোটের বিধায়ক। শনিবার সকালে প্রেসিডেন্সি
জেল থেকে ছাড়া পান নওসাদ। তিনি বলেন, ‘কৌস্তভের পাশেই রয়েছি। লড়াই চলবে।’ তিনি আরও
বলেন, ‘কেউ যদি ভেবে থাকে যে আমি ভয় পেয়েছি, তা হলে ভুল করছে। আমি মানুষের সঙ্গে লড়াইয়ে
ছিলাম, আছি এবং থাকব। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও কথা বলব আবার সরকারি কর্মচারীদের
ডিএ নিয়েও কথা বলব। আমি জানি না কেন কৌস্তভকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গে
যদি অন্যায় হয়ে থাকে, তা হলে আমি তাঁর পাশে আছি। তাঁর জন্য আমি গলা ফাটাব।’ মুক্তি পাওয়ার পর, জেলের মান উন্নয়নের দাবিও তুলেছেন আইএসএফ বিধায়ক।
0 মন্তব্যসমূহ