অন্যরা হলে কবেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেত। কিন্তু তিনি ইমরান খান (imran khan)। তিনি কাপ্তান। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করেন। তাই তোষাখানা মামলা নিয়ে যতই তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা হোক, তিনি রণে ভঙ্গ দেওয়ার পাত্র নন। বরং সাফ জানিয়ে দিয়েছেনস ১৮ মার্চ তিনি আদালতে যাবেন। দেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন। বিশেষ করে তাঁর অভিয়োগের তির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দিকে। এই নওয়াজকে হঠিয়েই পাকিস্তানের তখতে বসেছিলেন ইমরান। আর এখন তাঁর অবস্থাও নওয়াজের মতোই— কুর্সিহীন।
তবে নওয়াজের মতো তাঁর পরিণতি মানতে চান না ইমরান।
তাই দেশের মধ্যে থেকেই তিনি দাঁতে দাঁত চেপে লড়ায় চালিয়ে যাচ্ছেন। আর নতুন ভিডিও বার্তায়
তাঁর এই অবস্থার জন্য নওয়াজকেই দুষেছেন। তাঁর মতে, ‘লন্ডন প্ল্যান’ (pre planned) অনুযায়ী
তাঁকে গ্রেপ্তার করার ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নওয়াজের বিরুদ্ধে সব দুর্নীীতির অভিযোগগুলি
মুছে ফেলা যায়। মনে রাখতে হবে, নওয়াজ এখন প্রধানমন্ত্রী নন। তবে পাকিস্তানের ক্ষমতায়
তাঁর দল পিএমএল এন। আর প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফ। নতুন ভিডিও বার্তায়
ইমরানের ট্যুইট, ‘লন্ডন প্ল্যান অনুযায়ী সবকিছু চলছে। সেখানে একটি চুক্তি স্বাক্ষর
হয়েছে। তাতে ইমরানকে জেলে ভরা, আমার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের পতন ঘটাতে হবে।
আর নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নেওয়ার চুক্তি হয়েছে।’
শুনুন ইমরানের ট্যুইট বার্তা: তিনি আরও বলেন, কী কারণে মানুষের উপর হামলা চলছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। ইমরানের কথায়, ‘আমি তো ১৮ মার্চ আদালতে যাব বলেই জানিয়েছি।’ তোষাখানা মামলায় ইমরানের গ্রেপ্তারি নিয়ে বুধবারও উত্তপ্ত পাকিস্তান। এদিন সকালে লাহোরে জামান পার্কে ইমরানের বাসভবনের বাইরে জড়ো হন আরও কয়েক হাজার ইমরান সমর্থক। ১৪ ঘণ্টা ধরে এখানেই ইমরানের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, করাচিতেও পুলিশের সঙ্গে ইমরান সমর্থকদের সংঘর্ষ বেধেছে।
পেশোয়ারে প্রেস ক্লাবের বাইরে ধর্নায় বসেছেন ইমরান
সমর্থকরা। সেখানে শেরশাহ শুরি রোড ব্লক করে গভর্নর হাউস অভিমুখে রওনা হন বিক্ষোভকারীরা।
করাচিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান ইমরানের সমর্থকরা।
0 মন্তব্যসমূহ