বয়স মেরেকেটে ১৫ বছর (15 year old)। এরমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়ে নাগপুরের নাবালিকা কিশোরী। তবে মিলনের পরেই সেই যুবকের আর কোনও খোঁজ নেই। আর কিশোরীর গর্ভে বেড়ে চলেছে জীবন। শরীরে তার সব লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। পাড়া-প্রতিবেশি সকলেই এ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করত। প্রশ্ন করত তার শপিংমলে কাজ করা মাও। সকলেই সে একই কথা বলত। তার তো মাসিক হয়। সঙ্গে সবসময় স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখত। তাই দেখিয়ে দিত।
কিন্তু গর্ভের সম্তানের বাড়বৃদ্ধি তো আর থেমে থাকেনি। তাই হাসপাতালের সংস্রব এড়িয়ে কীভাবে সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব, জানতে শরণাপন্ন হয়েছিল ইউটিউবের (youtube video)। বাড়িতে কন্যা সন্তানের জন্মও (delivery) দেয় সে। তবে জন্মের পরই সন্তান কেঁদে ওঠে। কী করবে? এবার যে সবাই জেনে যাবে! অগত্যা শ্বাসরোধ করে সদ্যোজাতকে খুন (kill the baby) করে সে। এরপর সেই শিশুর দেহ ব্যাগে ভরে চিলেকোঠায় রেখে আসে। শুক্রবার কাজ শেষে বাড়ি ফিরে মা দেখে ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আর কিছু গোপন করা যাচ্ছে না। সব খুলে বলে। বলতে বাধ্য হয় নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এরপর মেয়েকে মায়ো হাসপাতালে নিয়ে যান মা। হাসপাতাল থেকেই আম্বাগারি থানায় খবর যায়। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কিশোরীকে ধর্ষণ এবং অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই জানা যাবে কিশোরী মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছিল, না জীবিত সন্তানকে খুন করেছে সে।
'ঠাকুর' পরিচয় দেওয়া সেই যুবকের সন্ধান করাই পুলিশের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিশোরীর কাছে না আছে তার ঠিকানা। না আছে তার ফোন নাম্বার। সে কেবল মেসেঞ্জার বা ওই জাতীয় অ্যাপের মাধ্যমে ভয়েস কল করত। অগত্যা সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ