আর পাঁচটা মামলার শুনানির মত পশ্চিমবঙ্গ (west bengal) এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (ssc recruitment scam) মামলা নিছক ‘তারিখ পে তারিখ’ হয়ে উঠুক, চান না বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (jsutice biswaji basu)। কারণ, এর সঙ্গে শিক্ষা সমাজের স্বার্থ জড়িত। তাই সোমবার আরও একবার এই দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে (cbi) তীব্র ভর্ৎসনা করলেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘যে বা যারা টাকা পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে, সিবিআইয়েইর এই ঢিলেঢালা মনোভাব কেন? এই ছ’বছরে তো অনেক টাকা পাচার করে দিয়েছে।’ স্পষ্টতই বিচারপতির বক্তব্যে সোমবার বিরক্তির সুর ধরা পড়ে। তদন্ত করা তদন্তকারী সংস্থার কাজ। সিবিআইয়ের একাজে দক্ষতা প্রশ্নাতিত যোগ্যতা রয়েছে। এরপরেও এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বারবার সিবিআইকে কেন বলে দিতে হচ্ছে—অমুককে জেরা করুন, তমুককে জেরা করুন। প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বসু।
তাঁর কথায়,
‘আদালতকে কেন বারবার বলে দিতে হচ্ছে, একে জিজ্ঞাসা করুন। ওকে জিজ্ঞাসা করুন? এটা তো
তদন্তকারীদের করার কথা।’ তিনি আরও জানতে চান, ‘নিয়োগ দুর্নীতির চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে
কী পদক্ষেপ করছে সিবিআই?’ তিনি বলেন, তদন্তকারী সংস্থাকে সবটা বলে দিতে হচ্ছে, এটা
কখনও কাম্য হতে পারে না। সিবিআইয়ের জন্যও এটা ভাল বিষয় নয়। নির্দিষ্ট করে বিচারপতি
বসু জানতে চান, ‘যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
কিছু সুবিধাভোগী এখনও কেন বাইরে? তাদের কেন হেফাজতে নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় এজেন্সি?’
এদিন শুনানিতে
সিবিআইয়ের উদ্দেশে শানিত বক্তব্য রাখেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে,
দ্রুত মামলা শেষ করতে হবে। এই মামলা আর ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। মামলা ঝুলে থাকার জন্যে
শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘মামলা ঝুলে
থাকার কারণে নিয়োগ আটকে রয়েছে। শূন্য পদ থেকে যাচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে
না।’
এই মামলা দ্রুত
শেষ করার জন্য পরোক্ষে বার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, মামলার কারণে শিক্ষক নিয়োগ করা যাচ্ছে না। আদালতও কার্যত সেই
রাস্তায় হেঁটে বুঝিয়ে দিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ