পথ কুকুরের (stray dogs) হামলায় একের পর আক্রান্ত। এমনকি একজনের মৃত্যুরও অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় ২৪টি কুকুরকে গুলি করে মারা (shot dead) হল বিহারে (bihar)। প্রশাসনের নির্দেশেই (govt order) এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার দু’দিন বেগুসরাই জেলার বেচওয়ারা ব্লকে এই কুকুরগুলিকে মারা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর কয়েক মাসের মধ্যে ৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার পরেই কুকুর মারার সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার মারা হয় ১৫টি পথ কুকুরকে। আর ন’টি কুকুর মারা হয়েছে বুধবার। তেঘরার এসডিএম রাকেশ কুমার জানিয়েছেন, বেচওয়ারা ব্লকের এক মহিলাকে কুকুরের আক্রমণের পরে এলাকাবাসীর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। রবিবার হাসপাতালে আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসীর ক্ষোভের আঁচ পেয়েই বন ও পরিবেশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রেজিস্টিকিৃত শ্যুটারদের নিয়ে টিম গঠন করে কুকুরগুলিকে মারা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল কুকুরগুলি বেছে বেছে এলাকার মহিলাদেরই আক্রমণ করছে। রবিবারের পরও অন্তত তিনজন মহিলাকে আক্রমণ করেছে কুকুরগুলি। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
বাচওয়ারা ব্লক মুখিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রভাত কুমারের দাবি গত এক বছরে রাস্তার কুকুরদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ন’জন মহিলা। আক্রান্ত হয়েছেন বহু মহিলা ও শিশু। তাঁর কথায়, ‘এই ব্লকের অন্তত সাতটি পঞ্চায়েতের মানুষকে কুকুরের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকতে হচ্ছে।’ এলাকায় কেন পথ কুকুরদের বাড়বাড়ন্ত? প্রভাতের মতে এর জন্য এলাকাবাসীই অনেকটা দায়ী। তাঁরা গবাদি পশুকে প্রকাশ্যে ফেলে রাখেন। খাবার পাওয়ায় কুকরদের দ্রুত বংশবৃদ্ধি হয়েছে। এরপর তারা মানুষকেও আক্রমণ করতে শুরু করেছে। গ্রামবাসীদের তাই এখন পশুর দেহ যেখানে সেখানে ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে।
এইভাবে কুকুর নিধন কি পশু অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে না? এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সমাজকর্মী প্রভাকর কুমার রাই বলেন, এই কুকুরগুলি নর খাদকে পরিণত হয়েছে। তাই গ্রামবাসীদের দাবি মেনে কুকুরগুলিকে মারা হয়েছে। এই কুকুরগুলিকে না মারলে আরও বড় বিপদ হত বলে তিনি জানিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ