নেতা-মন্ত্রীদের অনেকের অকথা কুকথায় কানে আঙুল দেওয়ার জোগাড়। এর পরেও তাঁদের মুখে লাগাম পড়ানোয় (additional restrictions) সায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। বাক স্বাধীনতার (free speech) কথা জানিয়ে বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের শুভবুদ্ধির উপর ছেড়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এসএ নাজির, বিচারপতি এসএস বোপান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি ভি রমাসুন্দরমনিয়ম এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্নাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, দেশের যে কোনও নাগরিকের মতই বাক স্বাধীনতা রয়েছে নেতা-মন্ত্রীদের। তাঁদের জন্য আলাদা করে কথায় লাগামের প্রয়োজন নেই। সংবিধানের ১৯-এর ১-এর এ ধারায় নাগরিকের বাক স্বাধীনতা সুরক্ষিত রয়েছে। আর ১৯-এর ২ ধারায় তার উপর কিছু লাগাম রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই দুই ধারাই যে কোনও নাগরিকের মতোই নেতা ও মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
নেতা-মন্ত্রীদের বাক স্বাধীনতায় লাগাম চেয়ে একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। নাগরিকদের বৃহত্তর স্বার্থের কথা জানিয়ে এই লাগাম টানার আবেদন করা হয়েছে। এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের মতে, কোনও মন্ত্রী যদি সরকার বা তার কাজকর্ম নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন, তাকে বিকৃত বলা ঠিক হবে না। সাংবিধানিক বেঞ্চের কথায়, ‘কোনও মন্ত্রীর অসংলগ্ন কথাকে সাংবিধানিক মানদণ্ডে বিচার করা ঠিক হবে না। নাগিরক অধিকার থেকে তিনি এমন কথা বলতেই পারেন। তবে পদে থেকে তিনি যদি কোনও অপরাধ করেন, তবে তাকে সাংবিধানিক ক্ষমতার বিকৃতি হিসেবে দেখা হবে। সেটা অপরাধ।’
আলাদা করে বিচারপতি নাগরত্না জানিয়েছেন, নাগরিকদের যাতে চেতনা ফেরে এবং শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তারজন্যই বাক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সেটা যেন ঘৃণাভাষণে পরিণত না হয়।
0 মন্তব্যসমূহ