নোট বাতিলকে (note ban) বৈধ বলে ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরে নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করে মোদি সরকার। সোমবার এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ নোট বাতিলকে বৈধ (upheld) বলে ঘোষণা করেছে। আদালতের মতে, নোট বাতিলের (note ban) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা গেল কি না, তো মোটেই বিবেচ্য হতে পারে না। তবে এই রায় সর্বসম্মত হয়নি। ৪-১ সংখ্যগরিষ্ঠতায় এই রায় পাশ হয়েছে।
কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে
সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল নোট বাতিল। রাতারাতি ৫০০ এবং হাজার টাকার নোট বাতিল হয়ে যায়।
নোট বাতিলের (note ban) কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, এবার
এই নোটগুলি কাগজের টুকরোর মতোই গুরুত্ব হারাবে। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ছ’টি বছর। এখনও
সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে নোট বাতিলকেও ইস্যু করে থাকেন বিরোধীরা। বাতিল নোটগুলি বদলানোর
জন্য ৫২ দিন সময় দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে নোট বদলানোর জন্য এই সময় যথেষ্ট
ছিল। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, ‘আর্থিক নীতি নির্ধারণে অনেক বাধা রয়েছে।
আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে আদালত কখনও নিজেদের জ্ঞানকে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে চাপিয়ে দিতে
পারে না।’
তবে বেঞ্চের একমাত্র সদস্য বিচারপতি
বিভি নাগরত্না এই রায়ের সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তাঁর স্পষ্ট মত, ‘এই সিদ্ধান্ত বিকৃত
এবং বেআইনি।’ তিনি আরও বলেন, এখন আর আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যাবে না। তবে সংসদে আইন
করে নোট বাতিল (note ban) করা যেত বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নোট বাতিল ছিল
ক্ষমতার আস্ফালন। এক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি। তাই এই কাজ বেআইনি।’
নোট বাতিলের রায় নিয়ে সবচেয়ে সরব ছিলেন
নাগরত্নাই। তিনি বলেন, নোট বাতিলের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে এই নিয়ে
অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর নোট বাতিল কার্যকর করতে কার্যত হিমশিম
খেতে হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। বিভিন্ন সময়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের দায় সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলেছে তারা। তাই ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছায়’-এর
মতো কথা তাদের ব্যবহার করতে হয়েছে। যাঁর অর্থ, ‘আরবিআই স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে
পারেনি’ বলে বিচারপতি নাগরত্না মন্তব্য করেন।
0 মন্তব্যসমূহ