সদ্য স্বাধীন হয়েছে দেশ (india)। এরমধ্যেই ব্যাঙ্কে রাখা টাকা ফেরত চেয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (kolkata high court)। তৎকালীন বহরমপুর ব্যাঙ্ককে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এই অবস্থায় টাকা ফেরত চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। সালটা ১৯৫১। এরপর থেকে শুনানির পর শুনানি। কেটে গিয়েছে পাক্কা ৭২টি বছর। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিডের তথ্য অনুযায়ী, এটাই ছিল দেশের সবচেয়ে পুরনো মামলা (oldest pending case)। এই মামলার নিষ্পত্তিও (finaaly settled) ঐতিহাসিক।
দেশের বিভিন্ন আদালতে মামলার পাহাড় জমা নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে আলোচনা
চলছে। এরমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৪৮ সালের ১৯ নভেম্বরের একটি রায় সামনে আসে। সেই
রায়ের সূত্রেই ১৯৫১ সালে মামলাটি দায়ের হয়। ১৯৪৮ সালে দেনার দায়ে বহরমপুর ব্যাঙ্ককে
দেউলিয়া ঘোষণা করে দেশের প্রাচীনতম হাইকোর্ট কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ
করে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা দয়ের হয় ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি। সব মামলাগুলি
একত্রে সংযোাজিত হয়। কলকাতা হাইকোর্টের কেস ডায়েরি অনুযায়ী মামলার নং: ৭১/১৯৫১।
সূত্রের খবর, এই মামলাটি গত সেপ্টেম্বরে দু’বার শুনানির জন্য ওঠে
বিচারপতি রবিকৃষ্ণ কাপুরের এজলাসে। তবে কোনও পক্ষই শুনানিতে হাজির হয়নি। তখন বিচারপতি
কাপুর কোর্টের লিকুইডেটরের কাছে মামলা নিয়ে রিপোর্ট চান। আদালতের নথি থেকে জানানো হয়,
মামলাটি ২০০৬ সালেই নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। তবে সেই সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করা হয়নি।
তাই মামলাটি পেন্ডিং তালিকায় রয়ে গিয়েছে। এরপর টাইপে সংশোধনীর পরে ৯ জানুয়ারি মামলাটিকে
নিষ্পত্তির তালিকায় তোলা হয়েছে। আর এর সঙ্গেই ৭২ বছরের পুরনো মামলার নিষ্পত্তি হল।
পরবর্তী পুরনো মামলাগুলি কী?
পরবর্তী তিনটি মামলাই দায়ের হয়েছিল ১৯৫২ সালে। এরমধ্যে দু’টি দেওয়ানি
মামলার শুনানি চলছে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ আদালতে। জানা গিয়েছে, মালদহ আদালতে মামলাগুলির
শুনানির দিন ধার্য হয়েছে মার্চ এবং নভেম্বরে। তৃতীয় মামলাটি রয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের
অধীনে।
0 মন্তব্যসমূহ