সভ্যতার উষালগ্নে মৃতদেহের সৎকার (necropolis) নিয়ে চিন্তিত ছিলেন মানুষজন। সম্মানের সঙ্গে যাতে সৎকার সম্পন্ন হয়, তার প্রতি নজর রাখতেন পূর্বজরা। হরপ্পা (harappan) সভ্যতার সময়কার একটি ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয়েছে গুজরাতে (gujrat)। সেই ধ্বংসাবশেষ আরও একবার প্রমাণ করল প্রাচীনকাল থেকেই দেহ সৎকারের (death rituals) ধারণা। কবর দিয়ে দেহের সঙ্গে তাঁরা দিতেন মৃতের প্রিয় এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। কি নেই সেই তালিকায়? গয়নাগাটি, খাবা, খাবারের থালা, জল এমনকী পোষ্যকেও সমাধি দেওয়া হতো মৃত দেহের সঙ্গে।
২০১৯ সালে গুজরাতের কচ্ছ জেলার জুনা খাটিয়া গ্রামে খনন কাজ শুরু হয়। তাঁদের নজরে পড়ে একের পর এক কবর পাশাপাশি রয়েছে। হাড়গোড় তো মিলেছেই। সঙ্গে রয়েছে, সেরামিকের পাত্র, প্লেট, ফুলদানি, বিডের অলঙ্কার, পশুর হাড়গোড়। তা থেকে খননকারীদের অনুমান, এখানে ৫০০-র বেশি কবরস্তান রয়েছে। এখনওপর্যন্ত ১২৫টি কবরের সন্ধান মিলেছে। এখনওপর্যন্ত এটাই বৃহত্তম কবরস্তান। তাঁদের মতে, ৩ হাজার ২০০ পূর্বাব্দ থেকে ২হাজার ৬০০ পূর্বাব্দের মধ্যে এগুলি খনন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে দোলাবিরাকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। হরপ্পা সভ্যতার অংশ এই দোলাবিরা। নৃতত্ত্ববিদদের মতে দোলাবিরা সহ অন্যান্য হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের থেকেও প্রাচীন এই জুনা খাটিয়ার ধ্বংসাবশেষ।
0 মন্তব্যসমূহ