জনসংখ্যা (population) বেশি হলে দেশের উন্নতি হবে না। এই ভেবে ৪২ বছর আগে এক সন্তান নীতি নিয়েছিল চীন (china)। সাফল্যও মিলেছিল। এবার এই নীতিই গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। দ্রুত জনসংখ্যা কমছে (fall) ড্রাগনের দেশে। এতটাই যে অর্থনৈতিক কাজকর্ম (economic crisis) করার লোকের অভাব দেখা দিয়েছে। দম্পতিদের সন্তান দানে নানা সুবিধা দিয়েও কাজে আসছে না। এইভাবে জন্মহার কমতে থাকলে অচিরেই বৃদ্ধদের দেশে পরিণত হবে চীন। কাজের লোক না থাকায় অর্থনীতির অবনমন নিশ্চিত। আর এতেই আশার (hope) আলো দেখছে ভারত (india)।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে চীনের ২০২২ সালের জনসংখ্যা রিপোর্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত বছর ১০৪ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর জন্মেছে ৯৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশু। গত শতকের ষাটের দশকের পর এই প্রথম চীনের মৃত্যুহার জন্মহারকে ছাপিয়ে গেল। আধুনিক চীনের প্রাণপুরুষ মাও জে দংয়ের 'গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড' নীতির জেরে দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে মৃত্যু দেখা দেয় সেদেশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী চীনা দম্পতিদের সন্তানের জন্মদানে অনীহা। আর্থিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চীনে জীবনযাত্রা অনেক মহার্ঘ হয়ে পড়েছে। সন্তানের ভরণপোষণের খরচ এখন অনেকটাই বেশি চীনে। তাই সন্তানের দায় নিতে চাইছেন না দম্পতিরা।
এর ফলে ২০৩৫ সালে চীনে ৪০ কোটির বেশি মানুষের বয়স হবে ৬০-এর বেশি। এমনিতেই বার্ধক্যভাতা দিতে দিতে চীনের রাজকোষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এই অবস্থায় কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
0 মন্তব্যসমূহ