ভুয়ো গণধর্ষণের (gang rape) অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এরপর গারদে কেটে গিয়েছে কয়েক বছর। এখন আদালত তাঁকে বেকসুর ঘোষণা করেছে। রেহাই (accquitted) পেয়েই রাজ্য সরকারের (state govt) বিরুদ্ধে ১০ হাজার কোটি টাকার (compensation) মামলা দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। সঙ্গে তাঁকে সঙ্গমসুখ (sex life) থেকে বঞ্চিত করার জন্য ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। সব মিলিয়ে তাঁর মোট ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পরিমাণ, ১০ হাজার ৬ কোটি ২ লক্ষ টাকা।
২০১৮ সালের ২০ জুলাই। মধ্যপ্রদেশের রতলম জেলার বাসিন্দা কান্তিলাল ভিল ওরফে কান্তুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। মানসা থানায় অভিযোগ দায়ের করে মহিলা জানান, তাঁকে ভাইয়ের বাড়িতে গাড়ি করে নামিয়ে দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করে কান্তু। এরপর কান্তু তাঁকে অন্য এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। সেই ব্যক্তি তাঁকে ৬ মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণ করে। এরপর রেহাই পেয়েই থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। এরপরেই কান্তুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২০ অক্টোবর তাঁকে বেকসুর ঘোষণা করে স্থানীয় আদালত।
এরপরেই মধ্যপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ১০ হাজার ৬ কোটি ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা করেন। কান্তু জানান, গ্রেপ্তারের সময় তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। তাঁর উপর নির্ভরশীল ছিলেন বয়স্কা মা স্ত্রী ও তিন শিশু। কষ্ট ও মানসিক নির্যাতনের জন্য ১০ হাজার কোটি, মামলার খরচ চালানোর জন্য ৬ কোটি টাকা দাবি করেছেন তিনি। তবে ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে। কান্তু জানিয়েছেন, সঙ্গম সুখ ভগবানের আশীর্বাদ। সেই সুখ থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেই বাবদ ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন তিনি।
তাঁর মামলা নিয়ে ১০ জানুয়ারি মধ্যপ্রদেশ সরকার ও তদন্তকারীদের বক্তব্য শুনবে আদালত।
0 মন্তব্যসমূহ