ভারতে অনেকেই এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন আকছার। লেখাপড়া করে চাকরিবাকরি (getting job) করে স্বাবলম্বী হও। তারপর বিয়ে (marriage) করে সংসার করবে। উঠতি যুবকদের (youth) শুধু বাবা-মায়েরাই নন, এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন শুভাকাঙ্খীরাও। আর এই পরামর্শ দিতে গিয়েই কাল হল মায়ের (mother)। তাঁকে খুন (kill) করল ৩২ বছরের ছেলে।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তদন্তকারী আধিকারিক প্রদীপ গুরজর জানিয়েছেন, কোহ-ই-ফায়জা এলাকায় মা আসমা ফারুকের সঙ্গেই থাকত ৩২ বছরের ফারহান। আসমার বড় ছেলের নাম আতাউল্লা। ফারহান বি.কম পাস। এখনও চাকরিবাকরি পায়নি। মঙ্গলবার আতাউল্লা বাড়ি ফিরে দেখে তাঁর মা অসার হয়ে পড়ে রয়েছেন। পুরো ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এরপরই মাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে ছোটেন। চিকিৎসকরা আসমাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন।
আতাউল্লাকে ফারহান জানিয়েছিলেন, ছাদ থেকে কিছু পারতে গিয়ে তিনি পড়ে যান। তাতেই মায়ের মৃত্যু হয়। বুধবার আতাউল্লা দেখেন ভাই ফারহান একটি ক্রিকেট ব্যাট লুকোচ্ছে। তাতে রক্তের দাগ। তখন ফারহাকে চেপে ধরেন আতাউল্লা। প্রথমে মানতে না চাইলেও পরে সে মাকে খুনের কথা স্বীকার কর। শুধু তাই নয়, ঘটনার কথা কাউকে জানালে আতাউল্লাকেও খুনের হুমকি দেয় সে। তবে তাতে শেষ রক্ষা হল না। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। ফারহানকে জেরা করার সময় সে ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, বহুদিন ধরেই বিয়ে করবে বলে সে মায়ের কাছে প্রস্তাব রেখেছিল। প্রতিবারই চাকরিবাকরির পর বিয়ে করবি বলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেন আসমা। মঙ্গলবার অবশ্য একথা শুনে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি ফারহান। পাশেই পড়ে থাকা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে। তাতেই মৃত্যু হয় আসমার। ফারহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ