প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (pm modi) হত্যার (want to kill) ছক কষছে দেশান্তরি ডন দাউদ ইব্রাহিম (dawood ibrahim)। দাউদের দুই সঙ্গীর থেকে এই তথ্য পেয়েছে জানিয়ে মুম্বই ট্রাফিক পুলিশকে সতর্কতা বার্তা পাঠিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দা (wb man)। সেই বার্তা পেয়েই নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশের কর্তারা। শুরু হয় তদন্ত। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর পাঠানো বার্তারও কোনও ভিত্তি নেই। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই ব্যক্তির নামধাম প্রকাশ করেনি মুম্বই পুলিশ।
কী জানাচ্ছে
মুম্বই পুলিশ? পশ্চিমবঙ্গের ওই বাসিন্দা মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হেল্প লাইন নম্বরে
এক ডজনের বেশি অডিও ক্লিপ, বহু মানুষের ছবি, একাধিক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের
বিজনেস কার্ড এবং একটি আধার কার্ডের ছবি হোয়াটসঅ্যাপ করেছে। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন
শাখার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘তদন্ত করে জানতে পারি এই বার্তাগুলির প্রেরক একজন মানসিক
ভারসাম্যহীন। সম্প্রতি তিনি ভাইকে হারিয়েছেন। এছাড়াও চারমাস আগে তাঁকে কাজ থেকে ছাঁটাই
করা হয়েছে।’
বার্তা পাওয়ার
পরেই সেগুলি ওরলি থানাকে জানায় ট্রাফিক পুলিশ। এরপরেই তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশের
অপরাধ দমন শাখা। তবে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি আগে কেরলের
একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। কেরলে কর্মক্ষেত্রে প্রায়ই তিনি ভূত দেখতেন। কাজ থেকে
ছাঁটাইয়ের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যান। দাউদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে যে দুই ব্যক্তির
কথা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা জানিয়েছিলেন, আদতে তাঁরা ছিলেন ওই ব্যক্তির কেরলে সহকর্মী।
অন্যদের ছবিগুলিও কেরলে তাঁর সহকর্মীদের বলেই পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের ওই কর্তা জানিয়েছেন,
‘তাঁর অন্য ভাইয়ের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলেছে। আমাদের সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছি তিনি মানসিক
ভারসাম্যহীন।’
আগস্টে মুম্বই
ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোলরুমের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে একটি বার্তা ঢোকে। তাতে ২৬/১১-র
মতো হামলার হুমকি দেওয়া হয়। পাকিস্তানি কোড রয়েছে এমন নাম্বার থেকে এই বার্তা পাঠানো
হয়েছিল। তবে এখনও এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ