যেন অমিতাভ বচ্চন অভিনীত দিবার সিনেমা। রুটি চুরির অপরাধে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় শিশুর। রাজ্যের (west bengal) আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁওতেও একই রকম ঘটনা ঘটল। একটি শপিংমলে (shopping mall) গিয়ে তাক থেকে চকোলেট (chocolate) তুলে (stole) নেন তরুণী (teen)। পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন 'মনের খেয়ালে' তিনি ওই ভুল করে ফেলেছেন। কিন্তু কোনওভাবে ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। লজ্জায় অপমানে আত্মঘাতী (suicide) হন কিশোরী। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা। মৃত ছাত্রীর বাড়ি জয়গাঁওয়ের নিউ সুভাষপল্লিতে। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা দফায়দফায় বিক্ষোভ দেখান।
জানা গিয়েছে, রবিবার ফালাকাটা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী জয়গাঁওয়ের একটি শপিংমলে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই ওই ঘটনা ঘটে। ছাত্রীটি সঙ্গে সঙ্গে চকোলেটের দামও দিয়ে দেন। সূত্রের খবর, তিনি ওই শপিংমল কর্তৃপক্ষকে বলেন, তিনি যে চকোলেটটি তুলে নিয়েছেন, সেটা তাঁর খেয়াল ছিল না। নিজের অজান্তেই ওই কাজ করে ফেলেছেন তিনি। এজন্য তিনি লজ্জিত। বিষয়টি নিয়ে যেন আর কিছু করা না হয়।তাছাড়া, ছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে ডেকে বিষয়টি মিটিয়েও ফেলা হয়। কিন্তু, এতকিছুর পরও কীভাবে ঘটনার ছবি বাইরে বার হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার ছবি ছড়িয়ে পড়াতেই ছাত্রীটি অপমানে ও লজ্জায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। 'চোর' অপবাদ সহ্য করতে না পেরে রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আত্মঘাতী হন তিনি। বাড়িতে সেসময় কেউ ছিলেন না। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দা এবং ওই ছাত্রীর পরিবারের জয়গাঁও থানায় বিক্ষোভ দেখান। যে শপিংমলে ঘটনাটি ঘটেছে, তার সামনেও বিক্ষোভ হয়। মৃত ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের কোনও দোষ ছিল না। মেয়ে মনের খেয়ালে একটি চকোলেট হাতে তুলে নিয়েছিল। সেকারণে ও সঙ্গে সঙ্গে চকোলেটের দাম মিটিয়ে দেয়। শপিংমলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে ঘটনার ছবি যাতে বাইরে না আসে, সেব্যাপারে অনুরোধও করে। কিন্তু, তারপরও ওই ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হয়। চুরি করে থাকলে আমার মেয়েকে পুলিসের হাতে তুলে দিলে পারত। আমি আমার মেয়েকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু, আমার মেয়ের আত্মঘাতী হওয়ার জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তি চাই।
0 মন্তব্যসমূহ