কথায় বলে মাতালদের টনটনে জ্ঞান থাকে। তবে অতিরিক্ত আনন্দের জন্য অনেক সময়ই তাঁরা বহু কিছুর সঙ্গে আপোস করে বসেন। তবে তাঁদের বোকা ভেবে বসলে ভুল হবে। প্রমাণ করে ছেড়েছেন বিজয় কুমার এবং মনু কুমার। বিজয় কুমারের থেকে ১০ টাকা এবং মনু কুমারের থেকে মদের দোকানদার ২০ টাকা দাম বেশি (overcharging) নেওয়ায় তাঁরা আদালতে মামলা করেন। আদালতে শেষ হাসি হাসলেন তাঁরাই (customers)। আদালতের নির্দেশে ১০ লক্ষ (rs 10 lakh) টাকা ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছেন তাঁরা। প্রত্যেকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে পাবেন। এছাড়া মানসিক হয়রানি এবং মামলার খরচের জন্য আরও দশ হাজার টাকা করে। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ এবং মামলার খরচের জন্য পাওয়া টাকার উপর ৬ শতাংশ হারে দশ মাসের সুদ। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্কটা বিশাল। অনেকেই বলছেন মদের দোকানে গিয়ে বেশি দাম দিতে বাধ্য হন অনেকেই। আদালতের নির্দেশে এবার তাঁদের টনক নড়বে। তাতে সমস্যার কিছুটা হলেও সুরাহা হবে বলেই মত অনেকের।
সেটা ২ জানুয়ারির কথা। উত্তরখণ্ডেরর রামনগর এলাকায়র একটি ‘ইংলিশ মদের দোকান’ থেকে ইম্পেরিয়াল ব্লু কিনেছিলেন। বোতলের দাম ছিল ১৭০ টাকা। কিন্তু দাম নেওয়া হয়েছিল ১৮০ টাকা। সেই টাকা অনলাইনে পেপ করে দেন তিনি। সেই অনলাইন পেমেন্টই রয়ে যায় তাঁর অতিরিক্ত দামের প্রমাণ হিসেবে। অন্যদিকে ৪ এপ্রিল হরিদ্বারের দ দোকান থেকে চার বোতল বি ইয়ং বিয়ার কিনেছিলেন মনু। প্রতি বোতলে পাঁচ টাকা করে বেশি নিয়েছিলেন ছেদি লাল। মোট ২০ টাকা বেশি নেওয়ায় মামলা করেন তিনি। দু‘জনেই হরিদ্বারেই ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন।
দুই দোকানকেই টাকা ফেরানোর জন্য চারবার নোটিশ দিয়েছিল আদালত। কেউই সেই টাকা ফেরায়নি। অগত্যা ‘পরিষেবায় খামতি’ রয়েছে বলে দুই দোকানকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে ক্রেতাসুরক্ষা আদালত। ৩০ দিনের মধ্যে তাঁদের টাকা দেওয়া না হলে, তাঁদের আরও ৬ শতাংশ হারে জরিমানার উপর সুদ দিতে হবে। মামলা শুরুর দিন থেকে এই সুদ গুণতে হবে দোকানগুলিকে।
0 মন্তব্যসমূহ