আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশের কামড় (police bites case) নিয়ে এখনও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার দু’দিন পরেও এই নিয়ে সমানে চর্চা চলছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশি দমনপীড়ন কোন জায়গায় গেলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই ঘটনায় দোষের (no offence) কিছু দেখছেন না রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ (wb assembly speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং পুলিশ হাত কামড়ানোয় কোনও অপরাধ হয়নি বলে শুক্রবার সাফ জানালেন তিনি। বিমান (biman banerjee) বলেন, ‘বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। এ নিয়ে আর কি বলব?’ পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘কী প্ররোচণা তৈরি হয়েছিল, তা দেখতে হবে। যদি কাউকে উত্তেজিত করে দেওয়া যায়, আর তিনি উত্তেজনার বশে এমন কাণ্ড করে বসেন, তা মোটেই অপরাধ নয়।’
বুধবার বিকেলে কলকাতার রবীন্দ্রসদনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ২০১৪ টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সঙ্ঘাত চরম আকার ধারণ করে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা পুলিশকর্মী ছুটে গিয়ে এক বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীর হাত কামড়ে দিচ্ছেন। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গলি নিউজ ক্লিক ডট কম। চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁর হাতে কামড় বসিয়েছে। হাতে দাঁত বসে গিয়েছে। অরুণিমার যন্ত্রণাক্লিষ্ট ছবি অনেকেই দেখেছেন টিভিতে। বিরোধীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। শাসক দলের প্রতিক্রিয়া একটু অন্য। তাঁদের মতে, ঘটনা কাম্য নয়। তবে আন্দোলনকারীরাই প্রথমে পুলিশকে আক্রমণ করে। বাধ্য হয়েই আত্মরক্ষায় পুলিশকর্মী এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন।
এরপরেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তীব্র হয়। এরপরেই কলকাতা পুলিশের হেড কোয়াটার্স লালবাজারের পক্ষ থেকে অরুণিমাকাণ্ডের বিভাগীয় তদম্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি হেড কমিশনার সাউথ (২) বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই তদন্ত হবে। কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটল তার পুঙ্ক্ষাণুপুঙ্খ রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তিনি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর সঙ্গেও কথা বলবেন। এরপর তিনি রিপোর্ট দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে লালবাজার।
0 মন্তব্যসমূহ