বেড়াল ছানার মতোই দেখতে তাদের। তাই বাচ্চা চিতাবাঘগুলিকে (leopard cub) ভুল করে বেড়াল ছানা ভেবে তাদের সঙ্গে খেলতে শুরু করেছিল কচিকাঁচার দল। কিন্তু তাদের ভুল ভাঙে চিতাবাঘ শাবকগুলির চিৎকারে। সঙ্গে সঙ্গে তারা বাড়ির লোকজনকে জানায়। বাড়ির লোকজন খবর দেন বনদপ্তরে। বনকর্মীরা শাবকগুলিকে রেখে আসে জঙ্গলে। আরও অবাক করা ব্যাপার হল সেই চিতাবাঘ শাবকদের জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে মা চিতাবাঘ (mother leopard)। এদিকে চিতাবাঘ শাবকদের সঙ্গে শিশুদের খেলার ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।
মধ্যপ্রদেশের ধরের জঙ্গল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শাবকদু’টিকে মাণ্ডুর জঙ্গলে ছেড়ে চলে গিয়েছিল মা চিতাবাঘ (mother leopard)। বৃহস্পতিবার রানি রূপমতী এলাকায় ছাগল চরাতে গিয়ে চিতাবাঘ শাবকদের দেখতে পায় কচিকাঁচারা। তারা শাবকদু’টিকে বেড়ালছানা ভেবে বাড়ি নিয়ে এসে তাদের সঙ্গে খেলতে শুরু করে। এরপর তারা মোবাইলে সেলফি এবং ভিডিও তুলতে গেলেই চিতাবাঘগুলি স্বমূর্তি ধারণ করে। না, কাউকে আঁচড়ে বা কামড়ে দেয়নি। তবে চিৎকার করতে শুরু করে। আর সেই পিলে চমকানো চিৎকারে ভুল ভাঙে ছোটদের। তারা তখন ছুটে পালিয়ে যায়।
বাড়ি ফিরে বড়দের ঘটনার কথা জানায় তারা। গ্রামবাসীদের থেকে খবর পৌঁছয় বনদপ্তরে। ধর বনদপ্তরের পক্ষ থেকে কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিতাবাঘ শাবকদের উদ্ধার করে তাদের ঠিক ওই জায়গায় রেখে আসে যেখান থেকে তাদের খুদেরা বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল। এরপর যাতে সেখানে কোনও গ্রামবাসী না যায়, তার জন্য বনকর্মীরাা নজর রাখছিলেন। শুক্রবার বনকর্মীরা জানান, শাবকদু’টিকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে মা চিতাবাঘ (mother leopard)। এতে অভিভূত বনকর্মীরা। কারণ, আগে ধারণা ছিল, মানুষের ছোঁওয়া লাগা শাবকদের আর ফেরায় না বন্যরা। এখানে ঘটেছে ঠিক উল্টো।
ধর বন দপ্তরের এসডিও এসকে রনশোরে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ঠিক সেই জায়গায় শাবকদু’টিকে আমরা রেখে এসেছিলাম। শুক্রবার আর সেখানে তাদরে দেখতে পাইনি। এলাকায় আমরা নজরদারি শুরু করি। শাবক বা অন্য কোনও বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব পাইনি আমরা।’ তিনি আরও বলেন, চিতাবাঘগুলির বয়স একমাসের মধ্যে হবে। তবে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ। এই জায়গাটি বন্যপ্রাণীদের জন্য স্পর্শকাতর। প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে গবাদি পশু খেয়ে নেয় পশুরা। চলতি বছরে অন্তত পাঁচটি মানুষের সঙ্গে পশুদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
0 মন্তব্যসমূহ