দিল্লিতে (delhi) শ্রদ্ধাকে (shraddha) খুন (murder) করা হয়েছে জানে পুলিশ। জানে গোটা দেশ। খোদ আততায়ী আফতাব পুণেওয়ালাও খুনের (killing) কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। এতকিছুর পরেও খুনের 'পাকা' প্রমাণের খোঁজে পুলিশ। কেন? আদালতে প্রমাণের দায়। তাই পদ্ধতিগতভাবে নিজেদের অবস্থান পাকা করতে চাইছে পুলিশ। প্রথম কাজ শ্রদ্ধার অস্তিত্ব প্রমাণ করা। তাই ফরেন্সিক (forensic test) পরীক্ষার দিকে তাকিয়ে পুলিশ।
এরজন্য ডিএনএ পরীক্ষার জরুরি। শ্রদ্ধাকে খুনের পর ৬ মাস কেটে গিয়েছে। দেহাংশের অনেকগুলিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শ্রদ্ধার হাড় থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে তা তার বাবা বিকাশের সঙ্গে মেলাতে হবে। ইতিমধ্যে খুঁজে পাওয়া হাড়গুলি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। বিকাশের ডিএনএ-র সঙ্গে হাড় থেকে পাওয়া ডিএনএ-র মিল হলে শ্রদ্ধার অস্তিত্ব প্রমাণ হবে। অস্তিত্ব প্রমাণে দ্বিতীয় প্রচেষ্টা মাথার খুলি থেকে মুখ মণ্ডলের ছবি তৈরি। যার পোশাকি নাম ফরেন্সিক ফেসিয়াল রিকনস্ট্রাকশন। এটি পুরোপুরি কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর।
বছর ছ'য়েক আগে শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড প্রমাণেও এই প্রযুক্তি-পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছিল পুলিশ। খুলির ছবি থেকে কোনও মৃতের পূর্ণাবয়ব মুখমণ্ডল তৈরি করা। এই পদ্ধতিতে মৃতের বিভিন্ন অ্যাঙ্গল থেকে একাধিক ছবি সংগ্রহ করে কম্পিউটারে সুপারইম্পোজ করে একটি মুখায়ব তৈরি করা হয়। খুলিটি যে মৃতেরই তা এই মুখায়ব থেকেই স্পষ্ট বলে আদালতে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা যায়। শ্রদ্ধাও ক্ষেত্রেও এই খুলিটি খোঁজা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আফতাব ইতিমধ্যে জানিয়েছে, সে ফ্রিজে শ্রদ্ধার মাথাটি রেখে দিয়েছিল। শ্রদ্ধার কথা মনে পড়লেই সে ওই মাথার খুলিটি দেখত। সূত্রের খবর, সেই খুলিটিরই হদিশ মিলছে না। যা এই মামলার অন্যতম উপাদান। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ নষ্টের জন্য দেহ টুকরো টুকরো করার সময়ই আফতাব অর্থবরিক অ্যাসিড, ফরম্যালডিহাইড এবং সালফিউরিক অ্যাসিড ব্যবহার করেছিল। খুনের পর ছ’মাস অতিক্রান্ত হওয়ায় পুলিশের হাতিয়ার এখন এইসব ফরেন্সিক তথ্য প্রমাণ। জানা যাচ্ছে, আফতাব বারবার বয়ান বদল করছে। কখনও বলছে মনে করতে পারছি না। ইচ্ছাকৃতভাবেই তদন্তে বিভ্রান্তি তৈরি করতে সে এমনটা করছে কি না, তাও ভেবে দেখতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লিভ ইন পার্টনারকে ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখেছিল যুবক| গ্রেপ্তার
0 মন্তব্যসমূহ