কিশোর কুমারের গান আছে না— চিতাতেই সব শেষ…কিন্তু মরণ থেকে চিতা পর্যন্ত পৌছনোই এক ঝক্কির ব্যাপার। হিন্দুদের নানাবিধ আচারে বাঁধা সেই শ্মশান যাত্রা। অনেকের ক্ষেত্রেই যথাযথভাবে সেই নিয়ম পালন হয়ে ওঠে না। প্রথমত এই গ্লোবাল ভিলেজে সন্তান-সন্ততিরা দূরে থাকতে পারেন। তাই তাঁদের পক্ষে মৃত বাবা-মায়ের অন্ত্যেষ্টির সময় অনেকেরই থাকা হয়ে ওঠে না। তাই অন্ত্যেষ্ঠির কথা ভেবে চিন্তিত। কোনও চিন্তা নেই। হাজির সুকান্ত ফিউনারেল সার্ভিস (funeral services)। ‘মাত্র’ ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে সম্পন্ন হবে হিন্দু রীতি মেনে আপনার শ্মশানযাত্রা থেকে অন্ত্যেষ্টি।
দিল্লি বাণিজ্য
মেলায় (delhi trade fair) নিজেদের পরিষেবার ডেমো নিয়ে হাজির হয়েছে সুকান্ত ফিউনারেল
সার্ভিস। মুম্বইয়ের এই স্টার্ট আপ সংস্থা অন্ত্যেষ্টির সমস্ত উপকরণ তুলে ধরেছে মেলায়।
কেমন সে উপকরণ? শববাহী খাট। সেই খাট হবে ফুলে ফুলে মোড়া। সেই খাট কাঁধে করে বয়ে নিয়ে
যাওয়ার জন্য থাকবেন বাহকরা। থাকছেন কান্নাকাটি করার জন্য কয়েকজন। শেষযাত্রার সঙ্গী
না থাকলে বড় বেমানান লাগে। থাকছে তার ব্যবস্থাও। কয়েকজন ‘রাম নাম সত্য হ্যায়’ বলবেন।
থাকছেন এক পণ্ডিতও। এলাহি ব্যবস্থার কথা ভাবুন। লোক লস্কর সমভিব্যাহারে চলেছেন শেষ
যাত্রায়। আর আপনি নিঃসঙ্গ নন। এটাই ডেমো আকারে তুলে ধরছে সুকান্ত ফিউনারেল সার্ভিস
(funeral services)।
সংস্থার সিইও
সঞ্জয় রামগুড়ে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁরা ৫ হাজার অন্ত্যেষ্টি সেরেছেন। তাঁদের
মোট মুনাফার পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা। দু’হাজার কোটি লাভের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন তাঁরা।
এখন নভি মুম্বই, থানে এবং মুম্বইতেই তাঁরা এই পরিষেবা দিয়ে থাকেন। এরপার মহারাষ্ট্র
সহ গোটা দেশে তাঁদের পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কীভাবে এই পরিষেবা পাওয়া
যাবে? ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার বিনিময়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই হবে। তবে কেউ আগে থেকে
এই অর্থ দিয়ে তাঁর সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পারেন। সেক্ষেত্রের খবর পাওয়ার পরেই
পতিশ্রুত পরিষেবা দেবেন তাঁরা। দিল্লি বাণিজ্য মেলায় সংস্থার পক্ষ থেকে একটি দেহ বহনকরার
খাটিয়া রাখা হয়েছে। সেটাই এখন আকর্ষণের কেন্দ্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায়
দিল্লি বাণিজ্য মেলার সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই মশকরা শুরু হয়েছে। অনেকেই এই উদ্যোগের প্রশংসা
করেছেন। তাঁদের মতে, যাঁদের পরিবার-পরিজন নেই, তাঁদের কাছে এই পরিষেবা আশীর্বাদ। অন্যদের
মতে, এটা অপমানজনক।
0 মন্তব্যসমূহ