অপেক্ষার আর মাত্র ১৫ মাস। এরপরেই সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে (open) যাবে অযোধ্যার (ayodhya) রামমন্দির (ram temple)। মঙ্গলবার রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারির (january, 2024) মধ্যে মন্দির সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ট্রাস্টের পক্ষে জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই বলেন, ২০১৪ সালের মকর সংক্রান্তির পূণ্য সময়কে মন্দির খুলে দেওয়ার জন্য বাছা হয়েছে। তাঁর কথায়, এই মন্দিরে ভূমিকম্প প্রতিরোধী ব্যবস্থা থাকছে। আগামী হাজার বছর ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে অযোধ্যার রামমন্দির।
রামমন্দির দেখতে হবে চোখ ধাঁধানো। এতে থাকে ৩৯২টি স্তম্ভ, ১২টি দরজা। সবচেয়ে আশ্চর্যের হল এতে একটুও লোহার রড ব্যবহার করা হচ্ছে না। পরিবর্তে হিন্দু রীতি মেনে পাথরগুলি জুড়তে ব্যবহার করা হচ্ছে তামার চিপ। মূল মন্দিরের আয়তন ৩৫০ ফুট লম্বা এবং ২৫০ ফুট চওড়া। চম্পত রাই বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরামর্শ দিয়েছেন পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করলে মন্দিরের আবহ যেন অনুভব করা যায়। সেইমতো ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মন্দির নির্মাণে খরচ পড়েছে এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অর্ধেক কাজ সম্পন্ন। সম্পত রাই বলেন, ‘যে গতিতে এবং গুণমানের সঙ্গে কাজ এগোচ্ছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকছে ১৬০টি স্তম্ভ। ১২টি দরজাই তৈরি হচ্ছে সেগুন কাঠে। বিশেষভাবে সিংহ দরজা তৈরি করা হচ্ছে। দোতলায় থাকছে গুপ্ত দরজা সহ হিন্দু রীতি মেনে নানা ভাস্কর্য।
২.৭ একর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকবে মন্দির চত্বর। পুরোটাই মুড়ে দেওয়া হবে গ্রানাইট পাথরে। রাজস্থান থেকে আনা হচ্ছে গ্রানাইট পাথর। মন্দিরের প্রজেক্ট ম্যানেজার জগদীশ আপহালে বলেন, রাম নবমীর দিন রাম লালার মূর্তিতে যাতে সূর্যের আলো পড়ে, মন্দিরের গৃর্ভগৃহ এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ