রাজ্যে বেড়েই চলেছে শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা। একের পর এক এক ঘটনাতেই তার প্রমাণ। মুর্শিদাবাদের এক মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের জের এখনও মেটেনি। এরমধ্যেই তৃতীয় শ্রেণির (class 3 student) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। অভিযোগ দিনের পর দিন তাকে স্কুলের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (rape) করত স্কুলের শিক্ষক (teacher)। ঘটনাটি সামনে আসার পরে পুরুলিয়ার (purulia) কোটশিলা থানা এলাকার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার (arrested) করেছে পুলিশ।
নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই পড়ুয়াকে ধর্ষণ করছে ওই শিক্ষক। বাড়িতে জানালে মারধরের ভয় দেখিয়ে ধিল শিক্ষক। তাতে পড়ুয়াও দীর্ঘদিন কিছু জানায়নি। তবে বিকৃতকাম ওই শিক্ষকের অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছিল না ওই একরত্তি। একদিন বাড়িতে এসে সব খুলে বলতে বাধ্য হয় সে। এরপরেই ওই শিক্ষকের কুকীর্তি সামনে আসে। মেয়ের সব কথা শোনার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবাত ওই শিক্ষককে পাঁচদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ প্রসঙ্গে পড়ুয়ার পরিবারের এক সদস্য জানান, ‘ ওই স্কুল শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ যদিও সেই অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তার কথায়, ‘আমি কখনওই এমন কোনও অপরাধ করিনি। আমি সেই ছাত্রীটিকে বই দিতে ডেকেছিলাম। বই নিয়ে চলেও গেল। তারপর কোত্থেকে যে এসব হল, বুঝতে পারলাম না।’
0 মন্তব্যসমূহ