সফি ভগবল সিং লায়লা
কেরলের (kerala) মতো শিক্ষাদীক্ষায় অগ্রসর একটি রাজ্যে কেন তুকতাক (black magic) করে দুই মহিলাকে খুন করে তাদের মাংস রান্না করে খাওয়া হবে, সেই নিয়ে সারা দেশে চর্চা চলছে। জানা যাচ্ছে দুই মহিলাকে টাকার লোভ দেখিয়ে আনা হয়েছিল। দ্বিতীয় মহিলার স্তন কেটে দেওয়া হয়। রক্তপাতে মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। এরপর তার দেহ ৫৬ টুকরো করা হয়। মৃত্যুর পরে দেহ রান্না করে ভক্ষণ করে দম্পতি (couple) এবং তাদের পরামর্শ দেওয়া গুণিন (sorcerer)। তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছে বিশেষ কমিটি।
তিন নরমাংস ভক্ষণকারী (cannibalism) সম্পর্কে কী জানিয়েছে পুলিস—
- মূল কালপ্রিট সফি
- ৫২ বছর শফি এলাকায় রশিদ নামে পরিচিত। পুলিসের মতে সে একজন পাকা অপরাধী। ২০২০ সালে ৭৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে সে। এরজন্য সে এক বছর জেলও খেটেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আটটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
- পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে সে প্রায়ই থাকার জায়গা বদল করত।
- পুলিস জানিয়েছে সে একজন মানসিক অপরাধী। মানুষকে অত্যাচার করে মজা পেত সে। দুই মহিলাকে খুনের আগে তাদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়।
- সফি নিজেকে গুণিন পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে। সে মানুষের সৌভাগ্য ফেরাতে বলেও জানায়। সেই পোস্ট দেখে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভগবল সিং (৬৮) এবং তাঁর স্ত্রী লায়লা (৫৯)।
- ভগবল গাছগাছড়া দিয়ে রোগ নিরাময় করে থাকে। তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর কোনও অপরাধের অতীত নেই।
- তুকতাকের নামে দু’জনকে খুন করা হয়েছে। প্রথমটি জুলাই মাসে। দ্বিতীয়টি সেপ্টেম্বরে।
দ্বিতীয় খুন কেন করা হল?
প্রথম খুনের পর কোনও আর্থিক উন্নতি হয়নি জানিয়ে সফির কাছে আবার যান দম্পতি। তখন সফি নাকি বলেন, আগের বার পদ্ধতিতে ভুল হয়েছিল। তাই ফল মেলেনি। তাই দ্বিতীয়বার তুকতাক করতে হবে।
দুই মহিলাকেই অর্থের লোভ দেখিয়ে দম্পতির কাছে আনে সফি। এরপর তাদের উপর নির্যাতন ও খুন করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ