লজ্জার একশেষ। ফাইভ জি প্রযুক্তির গোড়া পত্তন হয়েছে ভারতে (india)। সেই দেশের মানুষই অপুষ্ঠিতে বুগছে। শুধু তাই নয়, এই অপুষ্ঠির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। যৌথভাবে চলতি বছরের জন্য বিশ্ব পুষ্ঠি তালিকা (global hunger index (GHI) প্রকাশ করেছে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং ওয়েল্থহাঙ্গারহিল্ফ। তাতে গত বছরের তুলনায় ছ’ঘর (slips six place) পিছিয়ে ১০৭ তম স্থান হয়েছে ভারতের। ১২১ দেশের মধ্যে ভারতের এই তালিকা থেকে স্পষ্ট— ভাল নেই দেশবাসী। প্রতিবেশী নেপাল (৮১), বাংলাদেশ (৮৪), শ্রীলঙ্কাও (৬৪) রয়েছে ভারতের আগে। এমনকী পাকিস্তানও রয়েছে ভারতের আগে, ৯৯তম স্থানে। ভারতের পরে রয়েছে একমাত্র আফগানিস্তান। ২৯.১ নাম্বার পেয়ে ভারতের স্থান হয়েছে ‘নিষ্ঠুর’ তালিকায়। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছে ইয়েমেন। এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চীন এবং কুয়েত।
মূলত চারটি বিষয়কে ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অপুষ্টি, বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু, উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু এবং শিশু মৃত্যুর হার। এই সূচকে ৯.৯-এর নীচে হলে নিম্ন, ১০ থেকে ১৯.৯ স্কোর হলে মডারেট, ২০ থেকে ৩৪.৯ নিষ্ঠুর, ৩৫ থেকে ৪৯.৯ হলে চিন্তার এবং ৫০-এর উপরে স্কোর হলে অতি চিন্তার।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং অন্যান্য সংস্থার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন রিপোর্ট।
প্রত্যাশিতভাবে এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে ক্ষুধা সূচকে ভারত ক্রমশ পিছোচ্ছে। হিন্দুত্ব, হিন্দির প্রচারকে গুরুত্ব দিলে এই-ই হয়।’ অন্যদিকে চিদম্বরম পুত্র তথা কংগ্রেস সাংসদ কার্তির ট্যুইট, ‘বিরোধীদের পছনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া ছেড়ে সরকার আগে ক্ষুধা রিপোর্ট পড়ুক।’
0 মন্তব্যসমূহ