ভুল বোঝাবুঝির করুণ পরিণতি। প্রাণ গেল বালকের। বিহারের ভোজপুর জেলায় হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ তৃতীয় শ্রেণির এক পরীক্ষার্থী (girl) লক্ষ্য করে তার পায়ের কাছে কিছু এসে পড়ল। পরীক্ষা চলছিল। তাই সে আর ওই কাগজে (exam chit) হাত দেয়নি। উল্টে সেটিকে ভুল করে (mistakes) প্রেমপত্র (love letter) ভেবে বসে সে। পরীক্ষা শেষের পর সেকথা সে জানিয়েও দেয় তার দাদাদের। দাদারা (brothers) এরপর খুঁজে বার করে, কে সেই কাগজ ছুড়েছিল। এরপর সেই ১২ বছরের ছেলেকে খুন কেটে (kill the boy) টুকরো টুকরো করে ফেলে রেখে রেল লাইনে। সোমবার রেল লাইন থেকে সেই টুকরো টুকোর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিহার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝির ফল।
উদন্তনগর থানার বাসিন্দা দয়া কুমার গত ১৩ অক্টোবর তার পরীক্ষায় বোনকে সাহায্য করতে হাজির হয়েছিল স্থানীয় স্কুলে। পরীক্ষা চলাকালীন সে বোনের দিকে একটি টুকলির কাগজ ছুড়ে দেয়। কিন্তু ভুল করে সেই কাগজ গিয়ে পড়ে অন্য এক পড়ুয়ার কাছে। সে ভুল করে এই টুকলিকে প্রেমপত্র ভেবে বসে। আর সে কথা সে তারে ভাইদের জানিয়েও দেয়।
এরপর পড়ুয়ার দাদারা সেখানে এসে ওই বালকের উপর চড়াও হয়। এরপর তাকে অন্যত্র নিয়ে যায়। চারদিন পর ওই বালকের টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ন’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে চার নাবালক। বাকিরা প্রাপ্তবয়স্ক। সেই প্রাপ্তবয়স্ক যুবকদের জেলে হেফাজতে রাখা হয়েছে। নাবালকরা রয়েছে হোমে।
0 মন্তব্যসমূহ