সবকিছু ওলটপালট করে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের ধ্যানধারণা পুরনো হয়ে গিয়েছে। এখন চটজলদি তারকা বানার সময়। তাতে নৈতিকতা গোল্লায় যায়, যাক। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের যুবকের (man) কথাই ধরা যাক। আরও বেশি লাইক পেতে স্ত্রীর (wife) স্নানের দৃশ্য (obscene pictures) ফেসবুকে আপলোড করে দিলেন তিনি। স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের (booked) হয়েছে।
ফিরোজবাদে বাড়ি হলেও মহিলার স্বামী থাকতেন দিল্লির উত্তমনগরে। তিনি একজন সার্কাস কর্মী। মহিলা জানিয়েছেন, স্বামী প্রায়ই তাঁকে ভিডিও কল করতেন। স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসার মধ্যে এটুকু স্বাভাবিক। তবে মহিলাকে না জানিয়ে তাঁদের কল রেকর্ড করে রাখা হচ্ছিল, তা তাঁর জানা ছিল না। একদিন স্নান করতে করতে স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন তিনি। এরপর একদিন দেখেন, তাঁর সেই স্নানের দৃশ্যই ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছেন স্বামী। স্বামীর বয়স ২৮। মহিলার ২৬।
মহিলা প্রথমে ভেবেছিলেন ভুল করে এমনটি হয়ে গিয়েছে। তাই স্বামীকে পোস্টটি ডিলিট করতে বলেন। স্বামীর উত্তর শুনে তিনি তাজ্জব হয়ে যান। স্বামী তাঁকে বলেন, ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ার বাড়বে। তাই তিনি পোস্টটি ডিলিট করবেন না। মহিলা বলেন, ‘স্বামী যে সোশ্যাল মিডিয়ার পোকা, তা আমি জানতাম। তবে ফলোয়ার বাড়াতে তিনি যে এতদূর যাবেন, ভাবতেই পারিনি। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে আমার অশ্লীল ছবি দেখে আমি ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সেই ছবি ডিলিট করতে বলি। তবে তিনি সে কথা শোনেননি।’
অগত্যা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষুব্ধ মহিলা। তাঁর কথায়, ‘স্বামীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই। তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরতে হবে।’ জশরানা থানার এসএইচও এপি সিং বলেন, ‘যে প্রোফাইল থেকে ওই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে, তার লিঙ্ক সাইবার সেলে পাঠিয়েছি। এরপর ওই অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ