শুধু অপরাধ নয়। অপরাধের প্যান্ডোরা বক্স যেন। যতই খুলছে ততই বেরিয়ে আসছে একের পর এক নাম। প্রতারক (conman) সুকেশ চন্দ্রশেখরের (sukesh chandrasekhar) ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ মামলায় একের পর এক নাম জড়িয়েছে। ইতিমধ্যে অভিনেত্রী জ্যকোলিন ফার্নান্ডেজ, নোরা ফতেহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। তিহার জেলে এখন বন্দি রয়েছেন সুকেশ। সেখানেই তাঁর দেখা করেছেন বিগ বস খ্যাত নিক্কি তাম্বোলি, চাহত খান্না, সোফিয়া সিং এবং আরুষি প্যাটেল। এঁদের সঙ্গে দেখা করার সময় সুকেশ নিজেকে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার প্রযোজক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। এত তথ্যের কচাকচানির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল সুকেশকে জ্যাকোলিনের (jacqueline fernandez) বিয়ে (marry) করার মত সিদ্ধান্ত।
এই মামলায় সরাসরি যুক্ত নন জ্যাকোলিন এবং নোরা। তবে তাঁদের বহুমূল্য উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ। সেই সূত্রেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে নানা তথ্য। যেমন—
নোরা ফাতেহির সঙ্গে সুকেশের পরিচয় হল কীভাবে?
সুকেশের হয়ে কাজ করতেন পিঙ্কি ইরানি। সুকেশের নির্দেশে উপহার নিয়ে নোরার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। সুকেশের স্ত্রী লিনা মারিয়ার চেন্নাইতে একটি স্টুডিও রয়েছে। সেই স্টুডিওর একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সুকেশের পক্ষ থেকে গত বছর নোরাকে একটি বিএমডব্লু গাড়ি এবং হাজিরা বাবদ অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে জেরায় নোরা জানিয়েছেন, তিনি উপহারটি নেননি। তবে তিনি ওই উপহারটি তাঁর জামাইবাবু মেহবুব ওরফে ববিকে দিতে বলেন।
কে এই মেহবুব?
আদতে মরক্কোর বাসিন্দা মেহবুব বলিউডে কাজের সূত্রে মুম্বইতে থাকেন। ‘লীলা কি পহেলি’ নামের একটি সিনেমার পরিচালনা করেছেন তিনি। তাতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানি লিওনি।
তবে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল সুকেশকে জ্যাকোলিনের বিয়ে করার মত সিদ্ধান্ত। জ্যাকোলিন ভাল করেই জানতেন, সুকেশ বিবাহিত। স্ত্রীর সঙ্গে সুকেশের সম্পর্কও ভাল। এরপরেও সুকেশের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন জ্যাকোলিন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়ে দেন, ‘সুকেশ আমার স্বপ্নের পুরুষ। ওঁকে আমি বিয়ে করব ভাবছি।’ পুলিশের কর্তারা বলছেন, সুকেশের অপরাধ সামনে আসার পরেই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন নোরা। তবে জ্যাকোলিন কিন্তু সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। আর এতেই বলিউড ডিভার সমস্যা বেড়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ