এই সেদিনও কচি কচি শিশুদের পড়িয়ে আনন্দে সময় কাটাতেন তিনি। কিন্তু রোজগারপাতি ভালো ছিল না। অগত্যা বাড়তি রোজগারের আশায় জড়িয়ে পড়লেন আন্তর্জাতিক মাদক পাচার (smuggeler) চক্রে। সম্প্রতি সেই শিক্ষককে (teacher) বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার (arrested) করলেন রাজস্ব দপ্তরের গোয়েন্দারা। তার থেকে ১৪ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার এই হেরোইনের মূল্য ৯৮ কোটি টাকা (rs 98 crore) বলে জানিয়েছে শুল্ক দপ্তর। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আব্বা থেকে এই বিপুল মাদক বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে এসেছিল। অন্য একটি বিমানে এই মাদক দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কতা ছিল। তার আগেই ধরা পড়ে যায় ওই ব্যক্তি। ধৃত ব্যক্তির বাড়ি তেলেঙ্গানায় বলে শুল্ক দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।
কীভাবে জানা গেল?
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৯ আগস্ট বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে জাল পাতেন ডিআরআই আধিকরিকরা। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিমানবন্দরে নামতেই ৫২ বছর বয়সি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তার কাছে দু'টি ট্রলি ব্যাগ ছিল। সেই ব্যাগগুলির নীচে দু'টি কুঠরি আলাদাভাবে কাল টেপ দিয়ে জোড়া ছিল। সেগুলি খুলতেই বাদামি প্যাকেট মোড়া কালো টেপ জড়ানো হেরোইন বেরিয়ে আসে।
কীভাবে ওই শিক্ষক মাদক চক্রে জড়ালেন?
কয়েকমাস আগেও তিনি শিশুদের গৃহশিক্ষকতা করতেন। চাকরির সন্ধান করতে গিয়ে তিনি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখেন। বিদেশে কাজের সুযোগ দেখে তিনি লোভে পড়ে যান। এরপর তিনি আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আসলে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়ার মতো দেশের নাগরিকরা মাদক পাচার চক্রে বহুদিন জড়িত বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহর তালিকায় রয়েছেন। সেই দিক দিয়ে ভারতীয়রা নিরাপদ হবে বলে এখন ভারতীয়দের খোঁজ শুরু হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ