রাজনীতি আসলে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। নেতাদের শারীরিক ভাষাই বলে দেয় দলের অবস্থান। স্বস্তি -অস্বস্তির কথা। পার্থ-অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পর তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য থেকেই প্রকাশ, ভাল নেই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারের পরই উৎসবে মেতেছে বিরোধী শিবির। অনুব্রতের দেখানো পথেই কোথাও বিলি হয়েছে গুড়-বাতাসা। কোথাও বেজেছে ঢাক। রাজনীতির এই বিপরীত ‘চড়াম চড়াম’ শব্দ বড় বাজছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই বাক সংযম খুইয়ে বসছেন তৃণমূল নেতারা। কিছুদিন আগেই যিনি তৃণমূলের নানাবিধ কাজের সমালোচনা করছিলেন, সেই প্রবীণ রাজনীতিক সৌগত রায় (saugata roy) এবার বিরোধীদের (opponent) প্রতি অশালীন (abusive) মন্তব্য করে বসলেন। বললেন, ‘যাঁরা তৃণমূলের সমালোচনা করছেন, সেই সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো তৈরি হবে।’ কামারহাটির দলীয় কর্মসূচি থেকে বিরোধীদের নিশানা করে একের পর মন্তব্য করেছেন সৌগত। তিনি বলেন, ‘যাঁরা আমাদের নিন্দা করছেন, এরপর আমি বলব, তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। এই দিন অপেক্ষা করছে।’ এখানেই থামেননি বর্ষীয়ান সাংসদ। তিনি সিপিএম ও বিজেপিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, ‘তৃণমূল কিন্তু রাস্তায় আছে। আমরা কোনও দোষ করিনি যে আমাদের ঘরে ঢুকে যেতে হবে। বিজেপি সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি চোর চোর বলে মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেব যে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে। সাবধান থাকবেন।’ এদিন তাঁর নিশানায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সৌগত বলেন, নারদ কেলেঙ্কারিতে ববি, মদন, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নমি জড়িয়েছিল শুভেন্দুর। বাকিরা জেল খেটেছেন। কিন্তু একবারও শুভেন্দুকে ডাকেনি সিবিআই।
0 মন্তব্যসমূহ