আগেও কট্টরপন্থীদের বিষ নজরে পড়েছিলেন মুম্বই-জাত লেখক (novelist) সলমন রুশদি (salman rushdie)। স্যাটানিক ভার্সেসের লেখকের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিলেন ইরানের ধর্মগুরু আয়তোল্লা খোমেনি। তবে তাঁর উপর কখনও প্রাণঘাতী (attack) হামলা হয়নি। শুক্রবার সেই ঘটনাই ঘটল আমেরিকার নিউইয়র্কে (new york)। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্টেজে বক্তৃতার জন্য উঠতে যাচ্ছিলেন ৭৫ বছরের রুশদি। তখনই তাঁর উপর ছুরি নিয়ে হামলা হয়। লুটিয়ে পড়েন তিনি।
কীভাবে ঘটল এই আক্রমণ? ১০টি বিষয় (top ten points)—
- শুটোকোয়া ইনস্টিটিউটে তাঁর বক্তৃতার কথা ছিল। তার আগে সাক্ষাৎকার নেবেন হেনরি রিস। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, বক্তৃতার বিষয় ছিল— ‘বাক স্বাধীনতা এবং সৃষ্টিশীল চিন্তা’ করেন যে সমস্ত লেখক, তাঁদের আশ্রয় দিয়ে থাকে আমেরিকা।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, আক্রমণের পরে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
- আক্রমণকারীকে ধরে ফেলেন উদ্যোক্তারা। তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে হামলাকারীর নামধাম প্রকাশ করা হয়নি।
- সংবাদ সংস্থা এপির খবর অনুযায়ী, হামলার পরেই তাঁর দিকে ছুটে যান এক উদ্যোক্তা। রক্তাত্ব রুশদির পা উপর দিকে তুলে ধরেন তিনি। যাতে তাঁর বুকে আরও বেশি রক্ত যায়।
- রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বেঁচে রয়েছেন বলেই খবর।
- তাঁকে খুন করার জন্য ৩০ লক্ষ পাউন্ড পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
- ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর মহাবিতর্কিত গ্রন্থ দ্য স্যাটানিক ভার্সেস The Satanic Verses)। এরপরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। অনেক মুসলিমের অভিযোগ বইটিতে ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে। ইরান সহ বহু দেশে বইটি নিষিদ্ধ করা হয়।
- এখানেই খান্ত থাকেনি ইরান। তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়তোল্লা রোসুল খোমেইনি। ধর্মবিরোধী মন্তব্যের জন্য রুশদিকে খুন করার নির্দেশ যেন। এরপর রুশদিকে লন্ডনে কঠোর নিরাপত্তায় জীবন কাটাতে হয় কয়েক বছর।
- ১৯৮১ সালে মিডনাইট’স চিল্ড্রেনের (Midnight’s Children) জন্য রুশদিকে বুকার পুরস্কার (Booker Prize-1981) দেওয়া হয়।
- তাঁর অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘দ্য মুর’স লাস্ট সাই’, ‘শালিমার দ্য ক্লন’, দ্য এনচান্টরেস অব ফ্লোরেন্স ইত্যাদি।
0 মন্তব্যসমূহ