একটি আবাসন ভেঙে ফেলা হবে। তার জন্য চলছে সমস্ত রকম প্রস্তুতি। আর সেই ভাঙন (demolished) দেখার জন্য যেন উন্মাদ গোটা দেশ। এত উন্মাদনা আগে কখনও দেখা যায়নি। গত ১৯ আগস্ট এই সংক্রান্ত খবর বেঙ্গলিনিউজক্লিক.কম প্রকাশিত করেছিল। (পড়ুন: বহুতল ভাঙতে সাড়ে তিন হাজার কেজি বিস্ফোরক| আসছেন বিলেতি বিশেষজ্ঞরা) এরপর থেকেই প্রহর গোনা শুরু। আর হবে নাই বা কেন? এই ভাঙন বলা ভাল ধ্বংসও হতে চলেছে প্রযুক্তির এক বড় উদ্যাপন। জানা যাচ্ছে, নয়ডার (noida) এই নির্মাণ ভেঙে ফেলার সময় দেখতে লাগবে মার্কিন টুইন টাওয়ার (twin tower) ভেঙে পড়ার মতোই। ২০০১ সালে আল কায়দার হামলায় যেভাবে ভেঙে পড়েছিল মার্কিন গর্বের জোড়া টাওয়ার। নয়ডার টুইন টাওয়ারটিকেও ভাঙার সময় একই রকম দেখতে লাগবে।
তার আগে জেনে নেওয়া যাক নয়ডার টুইন টাওয়ারের খুঁটিনাটি
- নিয়ম ভেঙে এই বহুতল নির্মাণ করা হয়েছে। এই নিয়ে প্রমাণ পাওয়ার পরেই, তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এমারেল্ড কোর্ট সোসাইটির চত্বরের এই বাড়িটি কোম্পানি নিজের খরচে ভাঙবে। তবে ভাঙার কাজের তদারকি করবে নয়ডা কর্তৃপক্ষ।
- সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটিকে ১৪টি টাওয়ার এবং ন’টি ফ্লোরের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে এক একটি টাওয়ারে ফ্লোরের সংখ্যা ৪০টি পর্যন্ত বানানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
- ২০১২ সালে সুপারটেকের আবাসনের সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করা হয়। অভিযোগ, ফ্ল্যাট বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ম মানেনি সুপারটেক। তাছাড়া লাভের অঙ্কও তারা বাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে চারমাসের মধ্যে এই নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
- মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত বছর ৩১ আগস্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এম আর শাহকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
কোন কোন নিয়ম ভাঙা হয়েছে?
- দু’টি ব্লকের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি।
- দু’টি নির্মাণের মধ্যে যে জায়গা রাখা প্রয়োজন, তা রাখা হয়নি। এতে আবাসনের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে।
0 মন্তব্যসমূহ